চোরꦓাচালানের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপরেও বাঁচানো গেল না। একের পর এক মৃত্যু হল বেশ কয়েকটি বদ্রি পাখির। তাও হবার আবার বন দফতরের কার্যালয়ে এই পা𝐆খিগুলির মৃত্যু হয়েছে। বন দফতরের কার্যালয়ের মধ্যেই এক ঝাঁক পাখির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আসানসোলের সালানপুর ব্লকের রূপনারায়নপুর রেঞ্জ অফিসে এই পাখিগুলি খাঁচায় বন্দি ছিল। সেখানেই খাঁচায় বন্দি থাকা অবস্থাতেই পাখিগুলির মৃত্যু হয়। তবে কী কারণে এতগুলি পাখি একসঙ্গে মারা গেল? তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বন বিভাগ। এই অবস্থায় পাখিগুলির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাতে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে বন দফতর।
আরও পড়ুন: ভাইরাস নাকি কীটনাশক! ৭০ টিরও বেশি পরিযায়ী পﷺাখির মৃত্যু, অসুস্থ ১৫০
জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জ অঞ্চলে কয়েকদিন আগেই বেশ কিছু টিয়া পাখি এবং বদ্রি পাখি খাঁচা বন্দি করে পাচার করা হচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে হানা দেয় বন বিভাগ। এরপর পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে টিয়া পাখি এবং বদ্রি 🍌পাখিগুলিকে😼 উদ্ধার করা হয়। পরে টিয়া পাখিগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বদ্রি পাখিগুলিকে রেখে দেওয়া হয়েছিল। খাঁচার ভেতরেই ছিল পাখিগুলি। এর মধ্যে কিছু পাখি রাখা হয়েছিল শতাব্দী পার্ক এবং গুঞ্জন পার্কে। এছাড়াও বেশ কিছু পাখি রাখা হয়েছিল সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর রেঞ্জ অফিসে। সেগুলিকে খাঁচার ভিতরেই রাখা হয়েছিল।
শুক্রবার সেই পাখিগুলিই আচমকা ছটফট করতে শুরু করে এবং মারা ൲যায়। পাখিগুলির মৃত্যু নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে। প্রশ্ন ওঠে বন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে। একইসঙ্গে গাফিলতিরও অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন পাখি প্রেমীরা। এই অবস্থায় কী কারণে পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে তা জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রব🃏ার সকালে রূপনারায়নপুর রেঞ্জ অফিসে খাঁচায় থাকা বদ্রি পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে। পাখিগুলির মৃত্যুর কারণ বন বিভাগের কাছেও অজানা। রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দ্র বলেন, পাখিগুলিকে উদ্ধার করার পর টিয়াগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তব🐻ে বদ্রি পাখির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই সেগুলিকে খাঁচায় রাখা হয়েছিল। সেগুলি হঠাৎ মারা যায়। মৃত্যুর কারণ জানতে প্রতিটি দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।