সুযোগের অভাবে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করতে পারেন না। আবার অনেকে কোনও সুযোগ না পেয়েও শুধু প্রতিভা, কঠিন পরিশ্রমের জেরে অনেকটা পথ পেরিয়ে যান। প্রবল জেদ আর কঠিন পরি🦂শ্রমের জেরে যাবতীয় বাঁধাকে টপকে🌱 সবার সেরা হন তাঁরা। এই যেমন অভিজিৎ মাঝি। একেবারে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। তিনিই এবার সুযোগ পেয়েছেন আইআইটি ভুবনেশ্বরে।
মা জমিতে কৃষি মজুরের কাজ করেন। বাবা পোলট্রি ফার্মে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। সেই পরিবারের হীরের টুকরো ছেলে অভ🍃িজিৎ।
পশ্চিমমেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানার কঙ্কাবতী গ্রামে থাকেন অভিজিৎ। দিনমজুরের সন্তান। গ্রামের আর পাঁচজনের মতোই ফুটবল খেলতে ভালোবাসেন তিনি। আর সেই ফুটবলই যে তা💦ঁকে জীবনের অন্য পথ খুলে দেবে সেটা আর কে জানত!
২০১৯ সালে সবংয়ের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধানের কাছে অভিজিতের ব্যাপারে বলেছিলেন এক ফুটবল কোচ। আসলে অভিজিৎ ফুটবল খেলাতে একেবারে তুখোড়। দশগ্রাম স্কুলের সেবার সুব্রত কাপ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে প্রধা🌺ন শিক্ষক জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিজিৎ যদি তার স্কুলে ভর্তি হয় তবেই সুব্রত কাপ খেলতে যেতে পারবে সে। সেই মতো গ্রামের স্কুল ছেড়ে সবংয়ের ওই স্কুলে ভর্তি হন অভিজিৎ। এদিকে যত দিন গিয়েছে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যরা বুঝতে পারেন অভিজিৎ পড়াশোনাতে বেশ মেধাবী।
বিষয়টি বুঝতে পেরেই তাকে পড়াশোনাতে সহায়তা করতেন স্কুলের শিক্ষকরা। এরপর মাধ্য়মিক। সেখানে স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পায় অভিজিৎ। স্কুলের নাম উজ্জ্বল করে সে। এরপর স্কুলের তরফে তাকে হস্টেলে রাখা হয়। কৃতিত্বের সঙ্গে উচ্চ♍মাধ্𓂃যমিক পাশ করে সে।
এরপর স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় নিজের বুকের মধ্য়ে লালন পালন করা স্বপ্নটাকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পড়াশোনাতে আরও জোর দেয় অভিজিৎ। আইআইটির প্রবেশিকা পরীক🦄্ষাতেও সফল হয়েছে ജঅভিজিৎ। আইআইটি ভুবনেশ্বরে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সে ভর্তি হয়েছে।
এদিকে একাধিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অভিজিৎকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। স্কুলের শিক্ষকরাও নানা সময় অভিজিতের পাশে থেকেছ𒉰েন। স্কুলের হস্টেলেও থাকার ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন অভিজিৎ। তবে সর্বোপরি দাঁতে দাঁত চেপে রোজকার লড়াইটা করতে অভিজিৎ কিন্তু পিছিয়ে আসেনি। যেখানে দেখা যায় শহরের বহু অভিজাত পরিবারের সন্তান সমস্ত সুযোগ পেয়েও এই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন না। সেখানে অভিজিৎ দেখিয়ে দিয়েছে কঠিন পরিশ্রম আর অদম্য ﷺইচ্ছাশক্তি থাকলে কেউ থামিয়ে দিতে পারবেন না।