ডাইনি অপবাদ দিয়ে দিনের পর দিন ধরে কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছে এক আদিবাসী পরিবারকে। বাঁকুড়া সদর থানার অন্তর্গত মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দবনী আদিবাসী পাড়ার ঘটনা। ওই পরিবারের অভিযোগ, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মনসা দেবীর পুজো করছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই সমাজের মোড়লরা এসে নিদান দেন, এই পুজো করা যাবে না। এরপর ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে বলে🍒 অভিযোগ। পাশাপাশি পাড়ার কেউ কথা বলে না ওই পরিবারের সঙ্গে। এমনকী গ্রামের সরকারি টিউবওয়েল থেকেও জল নিতেও নিষেধ করা হয়েছে এই পরিবারকে। অভিযোগ এমনটাই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কেন মূর্তি পুজো করছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছিল গ্রামের কয়েকজন। এরপরই তাদের নানাভাবে হেনস্থা করা শুরু হয়। ওই পরিবারের বধূ বালিকা সোরেন বলেন, মনসা পুজো করার অপরাধেই আমাদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হ🍃চ্ছে। গ্রামের লোকজন বলছেন, এটা খারাপ দেবতা। এর পুজো করা যাবে না। ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছিল। আমাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুন করার কথাও বলছে ওরা। এদিকে সব মিলিয়ে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ওই বধূ।
বালিকার স্বামী কালীপদ সোরেন জানিয়েꦜছেন, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। এদিকে গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র বলেন, বিজ্ঞানের এত উন্নতি একদিকে ও অন্যদিকে বাঁকুড়া শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কোনও পরিবারকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে বয়কট করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বড় চক্রান্ত রয়েছে। আমরা পদক্ষেপ নেব।