রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তির নামে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি মামলায়। জাল জাতিগত শংস𝄹াপত্র দেখিয়ে অনেকে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই আবহে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিܫয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: আরও ১ মামলায় CBI দিলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি, ২ ঘণ্টা♊র মধ্যে স্টে 💝দিল ডিভিশন বেঞ্চ
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দী জানান, জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ওই ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। সেই কারণে তার ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীকে যে শুধু বহিষ্কারই করা হয়েছে তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া♏ হবে বলেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন। তাদের দাবি, ওই ছাত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তাছাড়া যারা জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ভর্তি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর সঙ্গে জড়িত অধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আদিবাসীরা। শুধু তাই নয়, যারা জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ভরতি হয়েছে তাদের সকলের ভর্তি বাতিল করতে হবে।
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর কলেজের বহিষ্কৃত ছাত্রীর বাড়ি তমলুকে। ওই ছাত্রী ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন। তাকে কলেজ থেকে এক লক্ষ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই ছাত্রী আর কলেজে আসেনি বলে জানা যায়। যদিও জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র ﷽প্রসঙ൩্গে কিছু বলতে চাননি তার বাবা। তার বক্তব্য, তিনি এখনই কিছু বলতে পারবেন না। বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিশা সোরেন নামে এক ছাত্রী জাল শংসাপত্র দেখিয়ে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভরতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের কাছে জবাব চেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ডিরেক্টরেট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিস ভট্টাচার্যকেও তলব করেছিলেন। এর আগে বিচারপতি তপসলি জাতিভুক্ত এবং উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের শংসাপত্রের প্রতিলিপিও আদালতে জমা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্♚গোপাধ্যায়। তখন বিচারপতি জানিয়েছিলেন যদি সরকারি মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে অবিলম্বে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হব🔴ে। এরপর অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর ১৪ জন পড়ুয়ার ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করেছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালের ওই ছাত্রী হলেন তাদের মধ্যে একজন।