হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিক টাওয়ারে চড়ে বসলেন এক যুবক। আর তাতেই শোরগোল পড়ে যায়। ফালাকাটা 💟ব্লকের ধনিরামপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওমালি এলাকায় তখন তোলপাড় অবস্থা ওই যুবককে নামানোর জন্য। ওই বৈদ্যুতিক টাওয়ার থেকে যুবককে নামাতে হিমশিম খেল পুলিশ। অবশেষে দু’ঘণ্টা পর টাওয়ার থেকে নামলেন ওই যুবক। যুবককে দেখতে ভিড় তখন এলাকায়। তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিরাপদে নামানো গিয়েছে ওই যুবককে। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনীর উদ্যোগে ওই যুবককে নামিয়ে আনা হয়।
এদিকে আজ, বুধবার সকালে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার ধনিরামপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওমালি এলাকার ভাটিয়াপাড়ার এক যুবক হঠাৎ বিদ্যুতের টাওয়ারে উঠে পড়ে। ওই যুবকের নাম বিপ্লব রায়। ৩৩ হাজার ভোল্টের হাইটেনশন টাওয়ারের মাথায় চড়ে বসতেই তা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবককে নেমে আসার জন্য নানা অনুরোধ করলেও অদ্ভুত দাবি করতে থাকে ওইܫ যুবক। বাড়ি থেকে ব🧸িয়ে না দেওয়ার জন্যই যুবক ওই বিদ্যুৎ টাওয়ারে উঠে পড়েছে বলে দাবি করে। ‘বিয়ে পাগল’ যুবকের কাণ্ড দেখে অবাক সকলেই। পাড়ার কিছু ছেলে আবার গান ধরেন, ‘দাদা আমার কি বিয়ে হবে না’।
আরও পড়ুন: এবার কি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অভিজিৎ? টালা থানায় বসেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট দাবি সিবিআইয়ের
অন্যদিকে পুলিশ এসে এমন রসিকতা থামাতে বললেন পাড়ার ছেলেদের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এদিন নিজের মর্জিতেই ওই যুবক বৈদ্যুতিক পোস্টে চড়ে বসেন। বিপজ্জনক অবস্থায় ওই যুবক ঝুলতে থাকে। এলাকার লোকজন প্রথমে অনুমান করেন, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই ওই যুবক বিপদ জেনেও বৈদ্যুতিক পোস্টের উপর উঠে পড়েছেন।♋ তখন থেকে ক্রমাগত তাঁকে নীচে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ওই যুবক নাছোড়বান্দা। নামতে চাননি। পরে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলে স্বস্তি পান এলাকাবাসীও। জটেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি যোগাযোগ করেন শিলিগুড়ির পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বিচ্ছিন্ন করা হয় ওই টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ।
এছাড়া কেন ওই যুবক নামছেন না? সেই প্রশ্ন করা হয় পুলিশের তরফে। জবাবে ওই যুবক পুলিশকে জানান, তাঁর বাবাকে এখানে আসতে হবে। তাঁকে বিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করতে হবে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশ কর্তারা ছুটে যান ওই যুবকের বাড়িতে। যুবকের বাবা ভ𝕴বেশ্বর রায়কে নিয়ে আসা হয়। তারপর ছেলেকে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলে টাওয়ার থেকে নেমে আসে বিপ্লব রায়। সমাপ্ত হয় দু’ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুলিশ অফিসাররা। তবে এভাবে পুলিশ, পরিবার এবং সাধারণ মানুষকে নাস্তানাবুদ করলেন তিনি। ‘বিয়ে পাগল’ ওই যুবককে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার পরই বাবা ছেলেকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ।