পোশাক বিভ্রাটের জেরে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অ্যাডমিটের ছবিতে থাকা পোশাকের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের পোশাকের মিল না থাকায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনই অভিযোগ উঠেছে বারাসতের রথতলা সংলগ্ন বিসিডিএ কলেজের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবা🗹দে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার কারণে তাঁদের এক বছর নষ্ট হতে চলেছে। অবিলম্বে তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত CTET-এর ফলাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚফল, রেজাল্ট দেখাꦺর প্রক্রিয়া দেখে নিন
জানা গিয়েছে, নার্সিং এর এএনএম এবং জিএনএম পরীক্ষা ছিল। সাধারণত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের মাধ্যমে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিসিডিএ কলেজে এই পরীক্ষার সিট পড়েছিল। তবে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। অনেক পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়𒐪া হয়নি। কারণ অ্যাডমিটে থাকা পোশাকের সঙ্গে তাঁদের পোশাকের কোনও মিল ছিল না। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি মতো পরীক্ষার্থীরা নতুন করে ছবি তুলে নিয়ে আসেন। কিন্তু তারপরেও তাঁদের অনেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের অভিযোগ সময়ের মধ্যেই ছবি তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এক পড়ুয়ার অভিযোগ, অ্যাডমিটে ছবি ছিল সিভিল পোশাকে। কিন্তু, তিনি স্কুল পোশাকযুক্ত ছবি নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই ঢুকতে দ🔥েওয়া হয়নি। যদিও পরীক🃏্ষা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, অ্যাডমিটে যে ছবি রয়েছে সেই ছবিই নিয়ে আসতে হবে। পরে অনেকেই নিকটবর্তী দোকান থেকে ছবি প্রিন্ট করে নিয়ে আসেন। কিন্তু তারপরেও অনেক পড়ুয়াকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরীক্ষা দিতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক পরীক্ষার্থী। এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, তিনি অনেক দূর থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। কিন্তু এভাবে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার ফলে তাঁর একটা বছর নষ্ট হতে চলেছে।
এর প্রতিবাদে এদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে🔯র বাইরে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু তারপরেও পরীক্ষা দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে অনেকেই ফিরে যান। জানা গিয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পরেও যে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না তা বুঝে উঠতে পারেননি অনেক পরীক্ষার্থী। তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা।
পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। অন্যায় ভাবে ওই কলেজের অধ্যক্ষ তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেননি। তাঁদের একটা বছর নষ্ট করে দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কলꦓেজের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।