গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহু মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ একের পর এক সামনে🌃 এসেছে। আর এবার তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় ক্যানসার আক্রান্ত রোগীকে শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ওই রোগীকে শংসাপত্র দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন: 'সꦫৌমিত্র খাঁ লড়তে জানে', একুশের মঞ্চে দলবদলের জল্পনার মাঝ🧸ে মুখ খুললেন সাংসদ
তৃণমূল সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের মুইধারা গ্রামের বাসিন্দা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তার এলাকাটি পড়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। বছরখানেক আগে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তিনি বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করেন। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বাদ চলে গিয়েছিল একটি কিডনি। কিন্তু, অর্থাভাবে সেখানে আর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেননি নজরুল। কলকাতার ꦐএকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করেন।
ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসা বাবদ খর🦂চ হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে দিয়েছেন জমি। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার কেমোথেরাপি প্রয়োজন। এর জন্য মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। সেই টাকা না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চেয়েছিলেন নজরুল। তবে এর জন্য সাংসদের শংসাপত্র প্রয়োজন। তাই তিনি গত সোমবার শংসাপত্রের জন্য সৌমিত্র খাঁয়ের কাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚছে যান। কিন্তু, সেই সময় সাংসদ দফতরে না থাকায় গোটা বিষয়টি সাংসদের সচিবকে জানান নজরুল।
পরে সৌমিত্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তাঁর সচিব। তিনি পরে নজরুলকে জানিয়ে দেন তিনি শংসাপত্র পাবেন না। কারণ সংসদ তাঁকে 𒉰শংসাপত্র দিতে নিষেধ করেছেন। নজরুল দাবি করেছেন, এরপর তিনি শনিবার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শেষে তিনি শংসাপত্রের ব্যবস্থা করে দেন෴। এ প্রসঙ্গে কীর্তি সৌমিত্রকে নিশানা করে বলেন, বিষ্ণুপুরের সাংসদ কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে ভোট দিয়েছে, কে দেয়নি তাই দেখে শংসাপত্র দিচ্ছেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়। তিনি জানান, খবর পাওয়া মাত্রই পার্টি অফিসে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। যদিও এবিষয়ে সৌমিত্রের কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।