রাজ্যে চাকরির পরীক্ষা দিতে আসা অবাঙালিদের ওপর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি চরমপন্থী আঞ্চলিকতাবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ওই সংগঠনের এক নেতাকে আটক করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। ধৃত রজত ভট্টাচার্য শিলিগুড়ি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে SSBর ❀কন্সটেবল পদে নিয়োগের পরীক্ষা দিতে বিহার থেকে শিলিগুড়িতে আসা যুবকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন - পুজোর মধ্যেও আরজি কর নিয়ে পথে থাকবে বিজেপিꦦ, উপায় বাতলে দিলেন শুভেন্দু
পড়তে থাকুন - 'ট্রাম উঠে যাচ্ছে না'! 𝕴কীভাবে? ফেসবুকে বোঝালেন⛦ দেবাংশু
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি লাগোয়া রাঙাপানিতে SSBর কন্সটেবল পদে নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষা ছিল। সেখানে বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে যুবকরা🎉 চাকরির আশায় হাজির হন। বলে রাখি রাঙাপানি এলাকা থেকে বাংলা - বিহার সীমানা কয়ে কিলোমিটার দূরে। অভিযোগ, সেখানে নিজেকে একটি চরমপন্থী আঞ্চলিকতাবাদী সংগঠনের 🐼সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে বিহার থেকে আসা প্রার্থীদের হুমকি দিতে থাকেন রজত ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যক্তি।
এছাড়া পরীক্ষার আগের দিন, স্থানীয় বিভিন্ন হোটেলে আশ্রয় নেওয়া পরীক্ষার্থীদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজেকে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে হোটেলে ঢুকে অবাঙালি পরীক্ষার্থীদের কাছে নথিপত্র দেখতে চান তিনি। তাঁকে নথি দেখাতে🧜 অস্বীকার করলে ওই যুবকদের হুমকি দেন তিনি। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়🌠োয় ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিহারের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।
ভিডিয়োটি নিয়ে শোরগোল শুরু হতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত রজত ভট্টাচার্যকে আটক করে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুল🍌িশ। কী ভাবে একজন চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য নিজেকে গোয়েন্দা আধিকারিক পরিচয় দিয়ে অবাঙালি যুবকদের হুমকি দিতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও।
আরও পড়ুন - কলেজে ভরতি হতে TM♕C নেতাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে হয় মেয়েদের, বিস্ফোরক দাবি
এই ঘটনায় অভিযুক্ত সংগঠনের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘অনেক সময় ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা পশ্চিমবঙ্গে বাসিন্দা বলে ভুয়ো নথি পেশ করে চাকরি পেয়ে যায়। তেমন কিছু যাতে না ঘটে সেব্যাপারেই তৎপ🍨র ছিলেন আমাদের সংগঠনের সদস্যরা।’ প্রশ্ন হল, কেন্দ্রীয় সরকারি নিয়োগে পরীক্ষার্থীদের ওপর খবরদারি করার অধিকার তাদের দিল কে? বলে রাখি, অভিযুক্ত সংগঠনটির বিভিন্ন নেতাকে বিভিন্ন সময় তৃণমূলের মঞ্চে দেখা গিয়েছে।