অমানবিক এবং নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার চাকদা। মুরগি চুরির সাজা হল মৃত্যু। তাও সাধারণ মৃত্যু নয়, নৃশংসভাবে যুবকের হাত-পা পিছন দিক দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল অত্যাচার। শুধু তাই নয়, যুবকের মলদ্বারে হাতুড়ি দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হল স্ক্রু ড্রাইভার। এরকমই নৃশংসভাবে যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ꧃নদিয়ার চাকদহ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিকনিক গার্ডেনের কাছে ১ নম্বর ঠাকুর কলোনিতে। মৃত যুবকের নাম রাহুল সিং (১৮)। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক অনিল বর্মণের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাহুল সিং তার দাদা ও বৌদির সঙ্গে ঠাকুর কলোনি এলাকায় অনিল বর্মনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কাজের সন্ধানের জন্য ভাই রাহুল সিংকে নিজের সঙ্গে রেখেছিলেন দাদা রোহিত সং। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই অনিল বর্মণের একটি মুরগি চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে মুরগি চুরির অভিযোগ তোলেন অনিল বর্মন। রাহুলের দাদার অভিযোগ, ‘আমার ভাই মুরগি চুরি করেনি। তা♎রপরেও সেই সন্দেহে বুধবার ভোরে অনিল বর্মণ এবং তার লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে তিনতলার ঘরের মধ্যে হাত পা ঝুলিﷺয়ে বেঁধে অমানবিক অত্যাচার করে। এরপর হাতুড়ি মেরে স্ক্রু ড্রাইভার মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেয়। খবর পাওয়ার পরেই আমরা ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, তার আগেই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।’
রাহুলকে নৃশংসভাবে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেই ঘটনায় তার পরিবারের লোকেরা অপরাধীর কঠোর থেকে কঠ♛োরতম শ𓂃াস্তির দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাহুলের পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।