প্রথমবার দেখা হতে বাবা তাঁর মেয়েকে বলেছিলেন, কেন এখানে এলি? তারপর কেটে গিয়েছে𒈔 অনেকগুলি দিন। বাবা–মেয়ের সাক্ষাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জেলের দেওয়াল। একবার বাবা রেগে গিয়ে বলেছিলেন, মেয়েকে গ্রেফতার করে অন্যায় করেছে ইডি। মেয়েও আদালতে বাবার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। নানা চড়াই–উতরাই এখন বাবা–মেয়ের জীবনে নেমে এসেছে। তবু মেয়েকে জেলে দেখে চোখে জল চলে আসে বাবার। এই দৃশ্য মেনে নিতে পারছেন না একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ে সুকন্যাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। এবার শনিবার একঝলক দেখা হতেই মনের কথা জানালেন তিনি।
এখন গরুপাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তাঁর শরীর খারাপ বলে আদালতে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাই তিনি জামিন চেয়েছেন। যা এখনও মেলেনি। আর সুকন্যা নিজেই এসেছিলেন ইডির দফতরে। তারপর গ্রেফতার হয়ে যান তিনি। এই খবর পেতেই জোর ধাক্কা পেয়েছিলেন অনুব্রত। তারপর থেকেই জেলের অন্দরে চুপচাপ হয়ে যান তিনি বলে সূত্রের খবর। তবে এবার দ্বিতী▨য়বার দেখা হল বাবা–মেয়ের। দেখা হল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডলের। ইতিমধ্যেই শনিবার দেখা হয় দুজনের মধ্যে। আর আধ ঘণ্টা ধরে কথাꦑ হয় তাঁদের মধ্যে। সূত্রের খবর, মেয়ের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিকে ইডি–সিবিআই প্রত্যেকেই আদালত⛄ে দাবি করেছে, অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচার মামলায় জড়িত থেকেই বিপুল পরিমাণ সম্পত্🐎তি করেছে। আর স্কুলশিক্ষিকা হয়ে সুকন্যা বাবার হাতযশেই বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে টাকা রয়েছে। সেটা এল কী করে? সুকন্যা দুটি কোম্পানির সঙ্গে জড়িয়ে। যার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সেখান থেকে কালো টাকা সাদা কꦅরা হয়েছে। গরুপাচারের টাকা এখানে ঢুকেছে। এছাড়া অনুব্রতর নামে চালকল থেকে শুরু করে একাধিক জমি রয়েছে বলে অভিযোগ।
ঠিক কী কথা হল বাবা–মেয়ের? সুকন্যার সঙ্গে দেখা হতেই অনুব্রত অশ্রুসিক্ত গলায় বলেন, ‘তোর দিল্লিতে🐼 আসা উচিত হয়নি।’ মেয়ে বাবার মুখে এই কথা শুনে পাল্টা বলেন, ‘বারবার নোটিশ পাঠাচ্ছিল কি করব?’ কথা বলার সময় মেয়েকে আশ্বাস দিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে, চিন্তা করিস না।’ আর মেয়ে বা𝐆বাকে কাছে পেয়ে বলেন, ‘অ্যারেস্ট হওয়ার আগে তোমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কাস্টডিতেও কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেওয়া হয়নি।’ তারপর দু’জনের চোখেই জল নিয়ে হল দূরত্বের ব্যবধান।