গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমে𒁏 তিনিই ছিলেন তৃণমূলের মুখ। কিন্তু, প্রায় এক বছর ধরে জেল বন্দি থাকার ফলে ধীরে ধীরে তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও দলের বিভিন্ন পদ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আরও অনেককেই বাদ দেওয়া হল বিভিন্ন পদ থেকে। সোমবার বীরভূমের জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনে দেখা গেল তাঁর অনুগামীরা খুব বেশি জায়গা পেলেন না। বেশিরভাগ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এবং অনুগামীরাই এই সমিতি থেকে বাদ পড়লেন। এক সময় যারা অনুব্রতর পাশে থেকে বীরভূমে তৃণমূলের মাটি শক্ত🗹 করেছে তাহলে কি তাদের এবার দলে গুরুত্ব কমছে? তাই নিয়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর ১১ কোটির সম্পত্তি, আদালতে🐟 হিসেব দিল সিবিআই, গুড় বাতাসার জোর!
বীরভূমে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জেলার প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। এবারও তিনি জেলা পরিষদের আসনে জয়লাভ করলেও তাঁকে স্থায়ী সমিতিতে রাখা হয়নি। জেলা সভাধিপতি করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী নামে পরিচিত কাজল শেখকে। যদিও বিকাশ রায়কে দলের অভিভাবক হিসেবে রাখতে চায় তৃণমূল। প্রসঙ্গত, আগেই সভাধিপতি হিꦉসেবে শপথ নিয়েছেন কাজল শেখ। আগামী ৭ দিন পর কর্মাধ্যক্ষের তালিকা গঠন করা হবে। সূত্রের খবর, স্থায়ী সমিতির সদস্যরা কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে যাদের নাম পাঠাবেন তাদেরকেই কর্মাধ্যক্ষ করা হবে। সেক্ষেত্রে অনুব্রত অনুগামীদের অনেকের নাম যেতে চলেছে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র দু তিনজন পুরনো কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে থাকবেন। বাকিরা সকলেই নতুন।
যদিও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ রায় প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, তিনি অভিভাবক হিসেবে থাকবেন। তিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ🔜নি যে পথ দেখাবেন সেই পথকেই তাঁরা অনুসরণ করবেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস অনুব্রত অনুগামীদের যেভাবে বাদ দিচ্ছে তাতে দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্ন। তবে কাজল শেখ দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুব্রত অনুগামীরা ভালো কাজ করেছেন। আগামী দিনেও তারা কাজ করবেন। তবে জেলা পরিষদের নতুন মুখ আসলে নতুনভাবে পরিচালিত হবে বলেই তিনি বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা পুরনোদের দেখানো পথেই হাঁটবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের রাজনীতিতে একাই দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিভিন্ন হোর্ডিং, ব্যানারে দে💯খা যায় তাঁর ছবি।জেলার সমস্ত পার্টি অফিসে তাঁর ছবি রয়েছে। এখন জেলা পরিষদে পরিবর্তন হওয়ার পরে এবার কি সেখানেও পরিবর্তন আসবে? তাই নিয়ে কৌতুহল রাজনৈতিক মহলে।