বিহারের জামালপুর-ভাগলপুর সেকশনে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করা হল। যে তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি ট্রেনও আছে। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিহারের জামালপুর-ভাগলপুর শাখায় রতনপুর এবং বারিয়ারপুরের মধ্যে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার জেরে শনিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট আপ এবং ডাউন লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। চালানো হচ্ছে না মালগাড়িও। সোমবারও কমপক্ষে ২২টি🍌 ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে একগুচ্ছ ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দিয়๊েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে?
১) ১৩০১৫ হাওড়া-জামালপুর কবিগুরু এক্সপ্রেস।
২) ১৩০১৬ জামালপুর-হাওড়া কবিগুরু এক্সপ্রেস।
৩) ০৫৪০৫ রামপুরহাট-সাহিবগঞ্জ এক্সপ্রেস স্পেশাল।
কোন কোন ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? কোনগুলি ঘুরপথে যাবে?
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার এবং সোমবার মিলিয়ে আপাতত ২৬টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-পাটনা এক্সপ্রেস, হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেসের মতো একগুচ্ছ ট্রেনের রুট পরিবর্তন🍷 করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। একইভাবে রবিবার এবং সোমবার মিলিয়ে একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। কোন কোন ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, কোন কোন ট্রেন ঘুরপথে চালানো হবে, দেখে নিন সেই তালিকা -
রেলের তরফে কী বলা হচ্ছে?
বিহারের জামালপুর-ভাগলপুর সেকশন আদতে পূর্ব-মধ্য রেলের আওতায় পড়ে। সেই পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সরস্বতী চন্দ্র জানিয়েছেন যে পাটনা-দুমকা এক্সপ্রেস, সরাইগড়-দেওঘর স্পেশাল, জামালপুর-কিউল মেমু স্পেশাল, ভাগলপুর-দানাপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাঙ্কা এবং বারাউনি হয়ে চালানো হচ্ছে এক🐬াধিক ট্রেন। যে তালিকায় আছে হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস, বিক্রমশীলা এক্সপ্রেস, গান্ধীধাম-ভাগলপুর এক্সপ্রেস, আনন্দ বিহার-মালদা টাউন এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন। তাছাড়া কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে অনেক নদী
বিহার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাটনা, ভাগলপুরের বিভিন্ন🔥 এলাকা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গ▨ঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোন, কিউল, কোসির মতো শাখানদীও বিপদসীমার উপরে দিয়ে বইছে। তারে জেরে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়ির ছাদে আশ্রয় দিয়েছেন। মুজফ্ফরপুর জেলার পানাপুর জেলার এক বাসিন্দা দাবি করেছেন, ছয়-সাত বছর পরে বন্যা হয়েছে। আগে শুধু জমিতে জল জমে যেত। এখন রাস্তাও জলের তলায় চলে গিয়েছে।