ভাল্লুকের দেহাংশ পাচারের আগেই উদ্ধার করা হল সেসব। বানচাল হয়ে গেল পাচারের ছক। বন দফতরের অফ💎িসারদের জালে ধরা পড়ল দুই পাচারকারীরা। উদ্ধার হয়েছে বন্য ভালুকের একাধিক দেহাংশ। যার বাজারের মূল্য কোটি টাকা। বন্য ভাল্লুকের দেহাংশ–সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অপারেশন চালায় বন দফতর। তাতেই মেলে সাফল্য। তবে বন দফতরের অফিসারদের প্রাথমিক অনুমান, ওই বন্য ভাল্লুকের দেহাংশগুলি পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এদিকে ভাল্লুকের দেহাংশ পাচারের ছক বানচাল করে বাগডোগরা বন দফতর। তাতেই এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাগডোগরার বিহার 🌞মোড়ে দুই পাচারকারীকে আটক করে উদ্ধার করা হয়, তিনটি ভাল্লুকের পিত্ত ও চামড়া। এই বিষয়ে কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ থেকে নেপালে পাচারের ছক কষা হয়েছিল। তবে তার আগে বাগডোগরায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদফতরের টিম ফাঁদ পেতে বসেছিল। আর ধরে ফেলা হয় পাচারকারীদের। ধৃতদের কাছে থেকে ভাল্লুকের পিত্ত ও চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতরা হল—আইজুল হক ও বাবুল হোসেন।’
আরও পড়ুন: ঝাড়গ𒈔্রামে প্রবেশ করল গজরাজ রামলাল, রবিবাসরীয় ♔সকালে তাণ্ডব চালিয়ে ফিরল বনে
এই পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। এই পাচার চক্রের অন্য পাণ্ডাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ এবং বন দফতর। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্যান্য জড়িতদের খোঁজ নেওয়ার জন্য তল্লাশি চলবে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা অসমের বাসিন্দা। ধৃতদের আজ, রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের রিমান্ডে এনে গোটা ঘটনার তদন্তে নামবে পুলিশ। এই দুই পাচারকারীর 🌼নেপথ্যে যে বড় মাথা আছে সেটা পুলিশ বুঝতে পারছে। কিন্তু এখনও কেউ এই পাচারের মূল পাণ্ডার নাম প্রকাশ্যে আনেনি।
অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে বন্য প্রাণীর দেহাংশ পাচারের বড় চক্র কাজ করে চলেছে। বন দফতরের অফিসাররা নিয়মিত তল্লাশি চালান সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চল🦩গুলিতে। ২০২৩ সালের ১৭ অগস্ট, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কয়েকজন পাচারকারীকে। রেডপান্ডা এবং চিতাবাঘের চামড়া–সহ গ্রেফতার হয় তিনজন নেপালের বাসিন্দাকে। বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের কর্মীদের অভিযানে এই তিন পাচারক🃏ারী ধরা পড়ে। আজ, রবিবার দিন অসমের পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।