পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগণনায় বেনিয়মের অভিযোগের অন্ত নেই। 🅷গণনার পর থেকে জেলায় জেলায় উদ্ধার হচ্ছে বিরোধীদের ছাপ দেওয়া ব্যালট পেপার। এবার তাদে যুক্ত হল আরও এক নতুন অভিযোগ। বালুরঘাটের বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কারচুপির অভিযোগ থেকে বাঁচতে গণনাকেন্দ্রের সিসিটিভি ক্যামেরা গায়েব করে দিয়েছেন তিনি। তার পর অভিযোগ জানিয়েছেন থানায়। এক টুইটে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার এক টুইটে সুকান্তবাবু বিডিওর করা জেনারেল ডায়েরির প্রতিলিপি প্রকাশ করেছেন। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে ভোটের আগের রাত থেকে ব্যালট বাক্স খুলে ছাপ্পা, ভোটের দিন সন্ত্রাস করে ছাপ্পা, বৈধ ব্যালট লুঠ করে ফেলে দেওয়া, গণনাকেন্দ্রে বিডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতে তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের সাহায্যে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানোর ঘটনা তো ছিলই। বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সাহেব নতুনত্ব যোগ করলেন, "গণনাকেন্দ্র থেকে Memory Card সহ আস্ত CCTV ক্যামেরা উধাও-এর অভিযোগ"। বিডিও সাহেবের গলায় অনৈতিক কাজগুলো কাঁটার মতো বিঁধে গেছে, না পারছেন গিলতে না পারছেন বার করতে। আইনের নজর থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতেই CCTV উধাও করে দেওয়া হলো না তো? পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে প্রত্যেকটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আমরꦫা মহামান্য উচ্চ আদালতের নজরে আনবো এবং এর বিরূদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।'
বলে রাখি, এর আগে বালির একটি ꧑গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেই মামলায় বালির বিডিওকে তলব করে আদালত। সঙ্গে গণনাকেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠান বিচারপতি। আদালতে হাজিরা দিয়ে বালি - জগাছা ব্লকের বিডিও জানান, ‘গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট লুঠ হয়েছিল।’ প্রশ্ন হচ্ছে, এবার আদালত একই প্রশ্ন করলে বিডিও সাহেব কী উত্তর দেবেন? সিসিটিভি লুঠ হয়েছে?