আদিবাসী নেতা রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার। অন্যদিকে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্য়াসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন। সূত্রের খবর শুক্রবার রাতে ফালাকাটায় কার্যত গোপন ও একান্ত বৈঠকে মিলিত হন ꧒দুপক্ষই। এদিকে এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গের রাজনীতির আঙিনায় নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত মিলেছে। রাজবংশী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে বিভিন্ন ইস্যুতে একজোট করার ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বীরপাড়ার জটেশ্বরে বিশ্ব আদিবাসী দিবসে গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত থাকার ব্যাপারেও আহ্বান করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দুপক্ষের কাছাকাছি আসার এই প্রয়াসকে ঘিরে ইতিমধ্যে নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার চা বলয় এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবেই পরিচিত।
বিগতদিনে বার বার পৃথক রাজ্যের দাবিতে গ্রেটারের আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার সহ উত্তরের একাধিক জেলা। একাধিক মানুষ শহিদ হয়েছিলেন এই আন্দোলনের জেরে। এমনকী দিনের পর দিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে অবরোধও করে রেখেছিলেন গ্রেটার সমর্থকরা। পরবর্তী সময় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন উঠছে তবে কী নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবার আদিবাসী নেতৃত্বের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে 🌟চাইছেন গ্রেটার নেতা বংশীবদন?
বংশীবদন বর্মন হিন্দুস্তান টাইমস ডিজি🎀টাল বাংলাকে জানিয়েছেন,' বিশ্ব আদিবাসী দিবসে আমাকে প্রধান অতিথি করা হবে বলে ওরা জানিয়েছেন। আসলে রাজবংশীরাও বঞ্চিত। আদিবাসীরাও বঞ্চিত। চুক্তি মোতাবেক যে কথা বলা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছাকাছি আসাটা দরকার। সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। '