নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সুফিয়ানকে এবার ঋণখেলাপের নোটিশ পাঠাল ব্যাঙ্ক। তাঁর জাহাজ বাড়ি নিয়ে এলাকায় রীতিমতো চর্চা চলত। এবার সেটি কি নিলামে উঠবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাꦓক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ এই বাড়িটি ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে তৈরি হলেও গত একবছরে ঋণের কিস্তি জমা পড়েনি বলে অভিযোগ। বরং ব্যবসার জন্য়ও মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন সুফিয়ান বলে অভিযোগ। সেই টাকাও শোধ করা হয়নি। আর তাই নন্দীগ্রামের এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে ঋণখেলাপির নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নন্দীগ্রামের ‘জাহাজবাড়ি’ আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল।
ব্যাঙ্ক ঠিক কী জানিয়েছে? আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুদ–আসল মিলিয়ে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা মেটানোর চরম সময়সীমা দিয়েছে ব্যাঙ্ক। জাহাজবাড়িতে আইনি নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে ব্যাঙ্ক 🔯কর্তৃপক্ষ। তারপরই জোর চর্চা শুরু হয় নন্দীগ্রামে। এমনকী বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বকেয়া ঋণ পরিশোধ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এই কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ–সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান ২০১৪ সালে জাহাজবাড়ি করতে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কন্টাই কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখা থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়। প্রথমে নিয়মিত কিস্তি দিলেও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে কিস্তির টাকা জমা পড়েনি। প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে বাড়ি বাবদ। যা সুদ যোগ করে বেড়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঋণ বকেয়া থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে ট্রলার কিনতে একই ব্য়াঙ্ক থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা ঋণ নেন শেখ সুফিয়ান। আর সেই ঋণের টাকাও তিনি শোধ করেননি বলে ব্যাঙ্কের অভিযোগ। সবমলিয়ে এই ব্যাঙ্কের কাছে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা বাকি পড়ে রয়েছে। আর তাই এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে ঋণখেলাপির নোটিশ ধরিয়েছে কন্টাই কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। নন্দীগ্রাম সদর থে🍸কে গোকুলনগরের দিকে এগোলেই দেখা মিলবে এই বিলাসবহুল জাহাজবাড়ির। নিয়ম অনুযায়ী, ঋণখেলাপি ব্যক্তির বন্ধক দেওয়া সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ব্যাঙ্ক। যদিও এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নন্দীগ্রাম আন্দোল🧜নের নেতা শেখ সুফিয়ান। যিনি একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন।
ঠিক কী বলেছেন সুফিয়ান? এই জাহাজবাড়ি নিয়ে এখন এলাকায় তুমুল আলোচনা চলছে। তখন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সুফিয়ান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ঋণ নিয়েছি যখন, তখন শোধ করে দেব। আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট ক𒈔রতেই এই সব রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। ঋণের উপর চাপানো সুদ নিয়ে কিছু মতপার্থক্যের জন্যই মাঝপথে টাকা দেওয়া বন্ধ হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।’