আজ মহাপঞ্চমী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে কলকাতা থেকে জেলা। আর তার মধ্যেই বড় খবর হয়ে গেল। এবার বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। প্রথমে বলা হল, কান ধরে ওঠ–বোস করতে। তারপর চেয়ারের মতো করে দাঁড়াতে। এমনকী একজন এসে ওই ছাত্রের কান মুলে দিল বলে অভিযোগ। তারপর ওই ছাত্রের পোশাক নিয়ে শুরু হল নানা কটুক্তি। এম কম ছাত্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়েরꦅ ম🤪ধ্যে বিভাগীয় প্রধানের ঘরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে রღ্যাগিং করার অভিযোগে মারা যেতে হয়েছিল। সেই ঘটনায় রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালের সেই ঘটনার একবছর কেটে গেলেও বাংলার মানুষ সেই ঘটনা ভুলতে পারেননি। কিন্তু র্যাগিংয়ের রো🍒গ এখনও সারেনি। তাই তো বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। মাস্টার ইন কমার্সের বিভাগীয় প্রধান প্রণাম ধরের সামনেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অথচ তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যান ও কনভেনর। তাই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই খুন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী, ব্যারাকপুরে তদন্তে পুলিশ, নেপথ্য কারণ কী?
এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হওয়ার পর ওই ছাত্রটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়বেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী তাঁর অভিযোগ চিঠিতে লিখে রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছেন। তারপরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামা হয়। উপাচার্য সৌরীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ওই এম.কম ছাত্রটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তপন দত্ত বলেন, ‘আমি এই অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানি না।’ গত ৩ অক্টোবর বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল পড়ুয়ার সঙ্গে? র্যাগিংয়ে ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ওই মাস্টার্সের পড়ুয়া। তাঁর অভিযোগ, ‘কমার্সের ক্লাসে গিয়ে দেখি, সেখানে কেউ নেই। খোঁজ নিয়ে জানি, প্রণামবাবু এনএসএস বিভাগে ক্লাস নিচ্ছেন। সেখানে পা রাখতে🦹ই র্যাগিং শুরু হয়। এনএসএস বিভাগের করণিকরা আমাকে এবং অপর এক পড়ুয়াকে দু’টি নীল ব্লেজার দেন। স্যার তখন তাঁদের বলেন, ওরা তো আমার ক্লাস কর🥂েনি। তাহলে দিলি কেন? তখনই আমাকে কান ধরে ওঠবোস করতে বলা হয়। তারপর নিজেই শুধু ওঠবোস করতে বললেন। আমাকে অনেকক্ষণ চেয়ারের মতো দাঁড় করিয়ে রাখেন। আমার জামার কলারের বোতাম খোলা দেখে কটূক্তি করেন।’ তবে বিভাগীয় প্রধান প্রণাম ধরের সাফাই, ‘আমি শুধু পোশাক ঠিক করতে বলেছিলাম। বাকি সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’