অরেঞ্জ ক্যাপের লড়াইয়ে, প্রথম পজিশনে Virat Kohli আছেন 741 রান করে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন Ruturaj Gaikwad, তৃতীয় স্থান দখল করেছেন Riyan Parag
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। ২০০৮ সালে এই টুর্নামেন্ট চালু হয়। প্রথম বছর থেকে সুপার-ডুপার হিট এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সময় যত গড়িয়েছে, ততই আইপিএলের উন্মাদনা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে এক নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। এই টুর্নামেন্টের হাত ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন-নতুন মুখ উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের আইপিএল হল ভারতের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সপ্তদশ সংস্করণ। ইতিমধ্যে ১৬টি মরশুম কেটে গিয়েছে। আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল বলতেই প্রথমেই আসবে চেন্নাই সুপার কিংসের নাম। কারণ তারা ৫ বার খেতাব জিতেছে।
শেষ মরশুমে অর্থাৎ ২০২৩ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। চেন্নাইয়ের পরেই যাদের নাম আসে, তারা হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বাণিজ্য নগরীর এই দলটিও পাঁচবার আইপিএল খেতাব জিতেছে। একমাত্র এই দুটি দল পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর ঠিক পরেই রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। যে দল দু'বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যদিও বর্তমানে নজর কাড়ছে গুজরাট টাইটানসও। প্রথম দুটি মরশুমেই দুর্দান্ত খেলেছে। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ২০২৩ সালে রানার্স-আপ হয়েছিল। ফাইনালে তারা হেরে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। তবে নতুন এই দলের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে প্রত্যেকের। আইপিএলের মঞ্চে দুটি এমন একটি পুরস্কার রয়েছে, যার জন্য ব্যাটার এবং বোলাররা লড়াই চালান। তা হল যথাক্রমে অরেঞ্জ ক্যাপ (কমলা টুপি) এবং পার্পল ক্যাপ (বেগুনি টুপি)।
গোটা মরশুমে যে ব্যাটার সবচেয়ে বেশি রান করেন, তিনি এই কমলা টুপি বা অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হন। এই তালিকায় রয়েছেন অনেক তারকা ক্রিকেটার। ক্রিস গেইল, সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটাররা অতীতে এই খেতাব জিতে নিয়েছেন। শুধু সিনিয়র ক্রিকেটাররাই নয়, পাশাপাশি বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটাররও এই কমলা টুপির মালিক হয়েছেন। যেমন কেএল রাহুল, শুভমন গিলরাও রয়েছেন এই তালিকায়। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক গত ১৬ বছর ধরে কারা এই বিশেষ টুপি মরশুম শেষে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। ২০০৮ সালে প্রথমবার আইপিএলের মঞ্চে কমলা টুপি জিতে নিয়েছিলেন শন মার্শ। তিনি কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে ৬১৬ রান করেনছিলেন। ঠিক পরের বছরই অর্থাৎ ২০০৯ সালে এই খেতাব জিতেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাথু হেডেন। তিনি ৫৭২ রান করেছিলেন।
২০১০ সালের আইপিএলের কমলা টুপি জিতে নিয়েছিলেন মাস্টার-ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৬১৮ রান করেছিলেন। চতুর্থ সংস্করণে এই কমলা টুপি জিতে নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। তিনি আরসিবির হয়ে ৬০৮ রান করেন। শুধু সেই বছরই নয়, পরের মরশুম অর্থাৎ ২০১২ সালেও গেইলই আরসিবির হয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কমলা টুপি জিতে নিয়েছিলেন। সেবার ৭৩৩ রান করেছিলেন তিনি। পরপর দু'বার কমলা টুপির মালিকানা আদায় করে নিলেও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি গেইল। কারণ ২০১৩ সালে এই খেতাব জিতে নিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের মাইক হাসি। যিনি ১৭ ম্যাচে ৭৩৩ রান করেছিলেন। ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা এই টুপি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। সেই বছর চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল কেকেআর। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। উথাপ্পা ৬৬০ রান করেনছিলেন।
২০১৫ সালে ডেভিড ওয়ার্নার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ৫৬২ রান করেছিলেন। ঠিক পরের বছরই অর্থাৎ ২০১৬ সালে মাত্র ১৬ ম্যাচ খেলে ৯৭৩ রান করেন বিরাট কোহলি। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে এই খেতাব জিতেছিলেন। এছাড়াও ২০১৭ সালে ফের একবার ডেভিড ওয়ার্নার জিতেছিলেন হায়দরাবাদের হয়েই। সেবার ১৪ ম্যাচে ৬৪১ রান করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে সানরাইজার্সের হয়ে ৭৩৫ রান করে কমলা টুপি জিতেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ২০১💮৯ সালে ফের হায়দরাবাদের হয়েই ওয়ার্নার জিতেছিলেন ১২ ম্যাচে ৬৯২ রান করে। ২০২০ সালে লোকেশ রাহুল পঞ্জাবের হয়ে ৬৭০ রান করেছিলেন। তিনি জিতেছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। ২০২১ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড় করেছলেন ৬৩৫ রান। জিতেছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। ২০২২ সালে জস বাটলার রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৮৬৩ রান করেছিলেন। জিতেছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। ২০২৩ সালে কমলা টুপির খেতাব তুলে নিয়েছিলেন শুভমন গিল। গুজরাট টাইটানসের এই তারকা ক্রিকেটার ১৭ ম্যাচে ৮৯০ রান করেন।