প্রতিবছরের মতো এবারও শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন জায়গায় বসন্ত উৎসব হবে। তাকে কেন্দ্র করে প্রচুর জনসমাগম হবে শান্তিনিকেতনে। এরজন্য প্রশাসনের তরফে চলছে জোর প্রস্তুতি। তবে এবারও বসন্ত উৎসব হচ্ছে না বিশ্বভারতীতে।🔯 দোলের দিন রবীন্দ্রভবন সহ পর্যটকদের জন্য আশ্রম চত্বর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ফলে এবারও পর্যটকরা দোলে বিশ্বভারতীতে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ থাকছে।
আরও পড়ুনঃ এবারও রবীন্দ্রভারতীতে হবে না বসন্ত উৎসব, করোনা নাকি অশ্লꦬীল শব্দ, দায়ী🅺 কে?
কেন এই সিদ্ধান্ত?
জানা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ফলে ভিড়ের চাপে যাত♒ে ঐতিহ্য ক্ষেত্র নষ্ট না হয় তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
💞শেষবার বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হয়েছিল ২০১৯ সালে। এর পরে করোনা অতিমারী থাকায় দুবছর বন্ধ ছিল বসন্ত উৎসব। গত বছরেও বসন্ত উৎসবে বিশ্বভারতীতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এর পরে কেটে গিয়েছে আরও একটি বছর। এরই মধ্যে উপাচার্য ꦦবদল হয়েছে বিশ্বভারতীতে। ওই সময় বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌষমালা ফিরেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আশা ছিল বসন্ত উৎসবও ফিরবে।
বুধবার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্♋ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক সহ অন্যান্য অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে💮 আশ্রম চত্বরে পর্যটকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতো এবারও দোলের দিন কয়েক লক্ষ পর্যটকদের ভিড় হবে শান্তিনিকেতনে। বোলপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, জামবুনি দুর্গাপুজোর মাঠ, কাছারিপট্টি ম্যানেজারের মাঠ, রতনপল্লি নিমতলা মাঠ প্রভৃতি জায়গায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে সেখানে প্রস্তুতি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় হওয়ার সম🗹্ভাবনা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে। ভিড় সামলাতে প্রস্তুত শান্তিনিকেতনের পুলিস ও প্রশাসন।
এদিকে, পুলিশ-প্রশাসনকে দোলের সময় উপাসনাগৃহের সামনে থেকে সঙ্গীতভবন পর্যন্ত রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ ক♋রার জন্য বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার শান্তিনিকেতনে বসন্ত উ💧ৎসবের উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।