পুজোর পর থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি সামলাতে এখন নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। রাত্রীকালীন বিধিনিষেধ ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়꧒গায় শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে রাত্রিকালীন যে বিধিনিষেধ রয়েছে, তাতে ছাড় দ🔯েওয়া চলবে না।
পুজোর পর্ব মিটতেই ফের রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। এর ফলে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাস্তায় বেরোনোর উপর বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকের মধ্যে এখনও রাতে বেরোনোর ব্যাপারে প্রবণতা রয়েছে। সেই কারণে পরিস্থিতির উপর রাশ টানতেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চালানো হচ্ছে নাকা তল্লাশি। সেখানে একদিকে যেমন মাস্ক না পরলেই ধরপাকড় করা হচ্ছে, তেমনই গাড়ি থামিয়ে নথি পরীক্ষাও করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় মাস্ক না পরলে জরিমানা আদায় করছেন প্রশাসনের কর্তারা। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফিরিয়ে আনা হয়েছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। হাওড়া পুরনিগমের পাঁচটি ওয়ার্ডের ১৪টি রಞাস্তায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপাড়া পুরসভায় সাতটি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরামবাগ পুরসভায় ১, ৩, ১৩, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি হুগলির ১২টি ব্লকের ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর সময় করোনাবিধি মারাত্মকভাবে অবহেলিত হয়েছে। রাস্তায়, পুজোমণ্ডপে কাতারে কাতারে ভিড়। মুখে মাস্কের বা🅺লাই নেই। নাগরিকদের উদাসীনতার জন্য ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। ফলে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ ক্ষেত্রে সময়সীমা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন বিধিনিষেধ রয়েছে রাত ১১টা থেকে। আগামিদিনে তা আরও দু'ঘন্টা আগে কার্যকর করতে চান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগামী ৪ নভেম্বর কালীপুজো। তার আগে ৩০ অক্টোবর ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে।