এবার বন দফতরের জমি দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোনাঝুরির হাটে বন দফতরের জায়গা দখল হয়েছে বไলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পেয়েই এবার তা খতিয়ে দেখতে শুরু করল বন ও ভূমি সংস্কার দফতর। এমনটাও যে হ🌼তে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে সোনাঝুরি এলাকায় জমি মাপা শুরু হয়। সরকারি জমি চিহ্নিত করার কাজ করতে দেখা গিয়েছে দুই দফতরের অফিসারদের। এখানে হাট কমিটি আছে। তারাও এই কাজকে সমর্থন করছে। সরকারি জমি দখল করে নেওয়ার পক্ষে কেউ নন। তাই দখলমুক্ত করতে এই জমি মাপার কাজ খুব সহজেই হয়ে যায়।
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুর🐓ি এলাকায় রয়েছে খোয়াইয়ের হাট। এখানে পর্যটকরা সময় কাটাতে আসে। নিরিবিলি এই এলাকায় পর্যটকরা একান্তে সময় কাটান। পরিবার নিয়েও অনেকে এখানে আসেন ঘুরতে। এখানে হাট বসে। যেখান থেকে পর্যটকরা নানা সামগ্রী কেনেন। আর তাই জঙ্গলের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ছোট–বড় রিসর্ট এবং হোম স্টে। আর এখানেই অভিযোগ উঠেছে, সরকারি জায়গা দখল করে এই রিসর্টগুলি গজিয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত বন দফতর এবং ভূমি দফতর। এইসব কারণেই হাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এবার লোকাল ট্রেনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনা হয়েছে, মহিলা কামরায় বিশেষ নিরাপত্তা
একাধিক পরিবেশকর্মীরা এই অভিযোগ বন দফতর এবং ভূমি দফতরে জানিয়েছেন বলে খবর। এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বন দফতর সমীক্ষার কাজ করতে শুরু করে গত এপ্রিল মাসে। তাতেই ধরা পড়ে যায় বন দফতরের জায়গা দখল করে বেশ কয়েকটি রিসর্টꦇ এবং বাড়ি তৈরি হয়েছে। বন দফতর তখন তাদের নোটিশ দিয়ে বোলপুর রেঞ্জ অফিসে জমির নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। তাই বৃহস্পতিবার বন এবং ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তারা সোনাঝুরি এলাকায় জমি মাপতে শুরু করেন। তার জেরে সরকারি জমি চিহ্নিত হয়েছে। এখানে দখল থাকলে তা মুক্ত করা হবে বলে সূত্রের খবর।
সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ করা অপরাধ। তাই এখন ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত বনাধিকারী সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘সোনাঝুরি হাটের মধ্যে থাকা সরকারি জায়গা দখল করে নির্মাণের অভিযোগ আসছিল। তাই জমি মাপা🐻র কাজ আ🤪মরা শুরু করেছি।’ আর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক অফিসারের বক্তব্য, ‘অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। তাই এই যৌথ অভিযান করা হয়। তবে মাপের কাজ শেষ করে বলা যাবে কতখানি সরকারি জমি দখল হয়েছে।’ তবে সোনাঝুরি হাট কমিটির সদস্য তন্ময় মিত্রের কথায়, ‘এটা খুবই ভাল কাজ। আমরা চাই হাটে বসা শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়।’