আজ মহাষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠল মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই মহাষষ্ঠীর সকালে পরিত্যক্ত ধাবার কাছে মিলল এক অন্তঃসত্ত্বার অগ্নিদগ্ধ দেহ। যা দেখে শিউরে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বীরভূমে। এই ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আশেপাশ🧜ে তদন্ত শুরু করে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ আছে কিনা তা দেখা হয়। থাকলে তা ফুটেজ পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই অন্তঃসত্ত্বা কোনও যুবতী বলে মনে হচ্ছে। গৃহবধূর চিহ্ন সেভাবে দেখা ♑মেলেনি। কুমারী অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাঁকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান। তবে অত্যাচারের জেরে গর্ভস্থ শিশু অন্তঃসত্ত্বা মহ🅷িলার দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। যা দেখে সবাই আঁতকে ওঠেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কে বা কারা খুন করল? মহিলা কি এই এলাকার? তাহলে পরিচয় কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার বরাবাজারে পড়ল মাওবাদী পোস্টার, মহাষষ্ঠীর দিনে মহাফাঁপরে প্রশাসন
অন্যদিকে এই খুনের ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এখন ওই মহিলার পরিচয় বের করতে পারেনি পুলিশ। তাই অন্যান্য থানায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহাষষ্ঠীর সকালে🦩 বীরভূমের মল্লারপুর থানা এলাকার সাতবেড়িয়া মোড় এলাকার কৃষকরা কাজে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের চোখে পড়ে ওই ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আর অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। মৃতদেহের পাশে পড়ে ছিল অপরিণত শিশু ও একটি রাসায়নিকের বোতল। এই দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটা পরিকল্পিত খুন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ দেখে মনে হচ্ছে খুন আগে করা হয়েছে তারপর ওই রাসায়নিক দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা প্রমাণ লোপাটের জন্যই করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে কোনও ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সব সামনে চলে আসবে। এই খুনের নেপথ্যে কারণ কী? কে ওই যুবতী? এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চলছে। তদন্ত জোরকদমে💛 শুরু হয়েছে। দ্রুতই গোটা বিষয়টা সামনে আসবে বলে আশাবাদী পুলিশ।