বাংলায় ২০ আসনের প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানে প্রত্যাশিতভাবে সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় মুখরা রয়েছেন। আবার জায়গা পেয়েছে কিছু নতুন মুখ। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হলেন প্রিয়া সাহা। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়া শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি এই প্রথম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমনটা নয়। তিনি ২০১৬, ২০২১ স♏ালের বিধানসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া বিধানসভার প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে জয় আসেনি। এবার কি জয় আসবে? প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না𝕴 দিলেও অনুপম হাজরা দুর্বল প্রার্থী বলেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
এদিকে বীরভূম অনুব্রত গড় বলেই পরিচিত। তবে এখন তিনি জেলবন্দি থাকায় হাওয়া অনেকটা বদলেছে বলে বিজেপি মনে করে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে এবারও বোলপুর আসনে ঘামফুলই ফুটবে। এই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়া সাহাকে। অনুব্রত মণ্ডলে✱র অনুপস্থিতিতে বীরভূম এবং বোলপুর কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কেমন ফল করে সেটা দেখার বিষয়। তবে বিজেপি প্রিয়া সাহাকে প্রার্থী করার পর থেকে জেলাজুড়ে তাঁকে নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে। বঙ্গ বিজেপিতে এই নেত্রীর নাম সামনের সারিতে আসেনি। তাই তাঁর রꦕাজনৈতিক জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন অনেকেরই অজানা।
আরও পড়ুন: রবিবাসরীয় কলকাতায় রুট মার্চ শ𒁃ুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর, ৭ মার্চ আসছে আরও ৫০ কোম্পানি
অন্যদিকে ২০১৬ সালে সাঁইথিয়া বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়ে হারেন প্রিয়া সাহা। তৃণমূল কংগ্রেসের নীলাবতী সাহার কাছে ৩৯ হাজার ৪৯২ ভোটে পরাজিত হন। একই ঘটনা ঘটে ২০২১ সালেও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হন প্রিয়া। নীলাবতী সাহার কাছে ১৫২৭২ ভোটে পরাজিত হন।😼 যদিও তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হাত শিবির থেকে। কালের গতিতে তিনি চলে আসেন বিজেপিতে। ২০১৫ সালে সাঁইথিয়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলরও হন প্রিয়া। সাঁইথিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত বিষয় নিয়ে স্নাতক হন। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর রাজনীতির প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল।
এছাড়া আজ ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাতে দুর্বল প্রার্থী প্রিয়া সাহা। যদিও তিনি সরাসরি নাম নেননি। আবার দুর্বল প্রার্থী দেওয়ার নেপথ্যে তৃণমূল–বিজেপি আঁতাত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনুপম। সু✨তরাং বিজেপি যে হারবে সেটা পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই আবহে প্রিয়া সাহা প্রার্থী হয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ🦋্গে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের এখন কী পরিস্থিতি সেটা সকলেই জানেন। বীরভূম আগে অনুব্রত গড় ছিল। আমাকে প্রার্থী করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই। জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী। ওটা আমরা মোদীজির হাতে তুলে দেব।’ সুতরাং এখন আর অনুব্রতর গড় নেই। এটাই বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।