দু’দিন আগেই মুরলিধর সেন লেনে এসে সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তখনই প্রকাশ্যে চলে আসে দলের অন্দরে তুমুল গোষ্ঠীকোন্দল। তুলকালাম 💛কাণ্ড ঘটে যায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের পার্টি অফিসের সামনের চত্বর। তারপর দলীয় এই কোন্দল ঠেকাতে বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা দিয়ে বসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙা একদম সহ্য করা হবে না। দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।’ পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘কতজনকে এমনভাবে শাস্তি দেবেন? তার থেকে বরং আলোচনায় বসা উচিত।’ আজ, রবিবার সুকান্ত মজুমদারের নাম না করে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। আর তাতেই সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
বঙ্গ–বিজেপির নেতারা এখন এমন কাদা ছোড়াছুড়ি চাইছিলেন না। কারণ রাজ্যে এখন আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেটা আটকানো গেল না। বরং অমিত শাহ আসার প্রাক্কালে দলের রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বসলেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক। সুতরাং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব☂ প্রকাশ্যে চলেই এল। বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে সাংগঠনিক ক্ষতি হবে বলে বার্তা দিলেন অনুপম। রবিবার বোলপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েকজন উচ্চপদাধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন। আর গোটা ঘটনা নিয়ে অনুপম হাজরার পর্যবেক্ষণ, ‘এমন চলতে থাকলে লোকসভা নির্বাচনে পাঁচটি সিট পাওয়াও চাপ হবে।’
এদিকে এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমেছে। সাংসদ সংখ্যাও কমেছে। একের পর এক নির্বাচনে বিজেপি হেরেছে। তার মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। এই আবহে অনুপম হাজরার অভিযোগ, ‘রাজ্য বিজেপির পদে থাকা কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। পদটিকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন। তাদের বোঝা✃ উচিত এটার ব্যাপক প্রভাব পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। অবিলম্বে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বসা উচিত নেতৃত্বের। কেন তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন? সেই বিষয়টি বোঝা উচিত। বিক্ষুব্ধরা নিজেদের অভাব–অভিযোগ শোনানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের কথা শোনা হয়নি। মানুষের ধৈর্য্যচ্যুতি কখন ঘটে? যখন আবেগ দিয়ে দল করার পরও তাদের অভিযোগের কথা শোনা হয় না। তাই তাঁরা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সুরুচি সংঘের প্রতিমা–মণ🌟্ডপ 𓂃সংরক্ষণের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
আর কী বলেছেন অনুপম? বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা গিয়েছে কলকাতার রাজপথে। এই দৃশ্য প্রমাণ করে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে বিজেপির উপর। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং ♎অমিত মালব্যকে রাজ্য পার্টির সাꦿংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। পাশাপাশি বঙ্গ–বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। সুকান্তর বিরুদ্ধেও স্লোগান তুললেন কর্মীদের একাংশ। তারপরই রাজ্য সভাপতি সাসপেন্ডের হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে মানতে নারাজ অনুপম। তাই অনুপমের বার্তা, ‘এমন চললে লোকসভায় পাঁচটি সিট পাওয়াও চাপ হবে।’