লোকসভা নির্বাচন সামনে। প্রত্🎃যেক রাজনৈতিক দল নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। সেখানে সেই পুরনো বিষয়টাই সামনে নিয়ে এসে খেলতে চাইছে বিজেপি। সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাংলায় শীঘ্রই কার্যকর হবে বলে আবার দাবি করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এটা আসলে ভোট পেতে কৌশল বলে মনে করছেন মতুয়াদের একাংশ। কারণ আগেও এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি এবং বিজেপি নেতারা। পরে দেখা যায় পুরোটাই ধোঁকা। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নিজের ওয়ার্ড হেরেছেন মন্ত্রীমশাই।
এদিকে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নাগরিকদের আবার নাগরিকত্ব কি দেবে! যাঁদের ভোট নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন জিতেছে বিজেপি তাঁরা ভারতের নাগরিক নন! এই রাজ্যে এসব চালু হবে না। নাগরিকত্বের নামে জনগণের উপর অত্যাচার করা যাবে না। দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি আবার সিএএ জুজু দেখাচ্ছে। যদিও রবিবার হুগলির জনাই স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়൩ দলের ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প সভা’য় এসে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, লোকসভা নির্বাচনের আগে অনলাইনে সিএএ কার্যকর হবে। কোনও রাজ্য সরকারের দরকার নেই।’
এই মন্তব্য নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনী💜তিতে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। বিতর্কও♎ তৈরি হয়েছে। যদি কোনও কিছু আইনে পরিণত হয়ে থাকে সেটা অনলাইনে কার্যকর করা যায় নাকি! এই কথাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন। আইন হলে তা তো দেশে এমনই কার্যকর হয়। এত ফন্দিফিকিরের দরকার কী? উঠেছে প্রশ্ন। তাছাড়া সিএএ কার্যকর হলে বাংলার মানুষের কোন উপকার হবে! অবাক হচ্ছেন অনেকেই। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, ‘অনলাইনে সকলে আবেদন করতে পারবেন। যাঁরা ১৯৭১ সালের পরে এসেছেন, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। জাতিতে হিন্দু, শিখ, মতুয়া, খ্রিস্টান, সকলেই এটা করতে পারবেন। ব্যতিক্রম একটা জাতি। ২৭ শতাংশ ভাগ করে নিয়ে গিয়েছে। আর ২৭ শতাংশ নিয়ে যেতে দেব না।’
আরও পড়ুন: বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হচ্ছে, চূড়ান্ꦗত হয়েছে নকশা
মন্ত্রীর এই কথা আসলে মেরুকরণের রাজনীতি বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি প্রচারে নিয়ে আসা হবে🌞 বলে সূত্রের খবর। মতুয়া থেকে মুসলিম বিভেদের রাজনীতি করছেন প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করবে বলে ঠিক করেছে। ব্যতিক্রম একটা জাতি—এই কথা বলে আসলে তিনি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘শান্তনুবাবু দিনের পর দিন মতুয়াদের সিএএ নিয়ে ভাঁওতা দিয়েছেন। ওঁর কথা আর কেউ বিশ্বাস করেন না।’