লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। সে ঘটনার পরই রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছিল। আবার নির্বাচনের মরশুমে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন। এবার জয়ের পর এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভবতারণ চক্রবর্তীকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন তিনি। আর তাতেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে ঘিরে গুঞ্জন তুঙ্গে উঠল। তিনি নিজে অবশ্য বিষয়টিকে সৌজন্য বলেই ব্যাখ্যা করেছেন। তাহলে কি আবার ফিরছেন তৃণমূল কংগ্রেসে? সৌমিত্রর এই কার্যকলাপে রাজনীতির অন্দরে এমন 𝐆প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে সৌমিত্র খাঁ বরাবরই রাজ্য–রাজনীতিতে এক বিতর্কিত চরিত্র। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কোতুলপুর বিধানসভা থেকে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছিলেন। দু’বছর পর ২০১৩ সালে যোগ দেꦰন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিধায়ক হিসাবে মেয়াদ শেষের আগেই ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হন সৌমিত্র। তখনও মেয়াদ শেষের আগেই দলবদল করেন সৌমত্র খাঁ। ২০১৯ সালের💛 লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলবদল করে বিজেপির প্রার্থী হন। আর বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ হন সৌমিত্র খাঁ। আর এবার বিজেপির বঙ্গে ভরাডুবির পর সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, দল ২৫ জনের যে কোর কমিটি তৈরি করেছিল তার মধ্যে ২০ জনই অযোগ্য। তার ফল ভোগ করতে হয়েছে বিজেপিকে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভাকে এবার চিঠি দিল লালবাজার, নতুন প্রস্তাব 🗹নিয়ে চিন্তিত পুরকর্তৃপক্ষ
অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেতার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপওাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সৌমিত্র খাঁর গলায়। একইসঙ্গে নিজের দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাই সৌমিত্র খাঁর আবার শিবির বদলের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সোমবার সেটা আরও মাথাচাড়া দেয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। গতকাল রতনপুরে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল সংক্রান্ত কাজে যান সৌমিত্র। ফেরার পথে রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য নেতা এবং এখন এলাকার দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত ভবতারণ চক্রবর্তীকে দেখতেই প্রকাশ্যে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সৌমিত্র খাঁ। কুশল বিনিময়ও করেন। তাতেই সৌমিত্রর দলবদল নিয়ে হওয়া গুঞ্জন নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে।
এছাড়া এই ছবি সামনে আসতেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়। সাংসদ নিজে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘রাজনীতিক মতাদর্শ আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু আমি সবসময় সৌজন্যে বিশ্বাসী। একসময়ে ওঁর সঙ্গে রাজনীতি করেছি। উনি আমার সিনিয়র লিডার ছিলেন। অনেকদিন পর দেখা হয়েছে বলেই সৌজন্য দেখিয়েছি। একজন বয়স্ক মানুষ। তাঁকে শ্রদ্ধা 🌌জানানো আমার কাজ। আমি সেইটাই করেছি।’ দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভবতারণ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘একসঙ্গে অনেকদিন দল করেছি। আমি ওর থেকে বয়সে বড়। তাই দেখাꦉ হওয়ার পর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছে। আমিও আশীর্বাদ করেছি।’