দলীয়🍃 কার্যালয়ে ভাঙচুর, অশান্তি ও গাড়িতে আগুন! সেইসঙ্গে, দলীয় সহকর্মীকে আটকে রেখে বেধড়ক মার! তার জেরে দলেরই এক কর্মীর দায়ের কꦛরা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বিজেপির এক নেতা। ধৃত সুনীল গুপ্ত সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য।
রবিবার আদালত সেই নেতাকে জামিন দিলেও এই ঘটনা ঘিরে ফের একবার সামনে চলে এসেছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্🏅দ্ব। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস💙 অন্তত তেমনটাই দাবি করছে।
যদিও গ্রেফতার হওয়া এবং পরে জামিন পাওয়া ওই বিজেপি নেতার দাবি, যেহেতু তিনি তৃণমূল শাসিত রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল 𒀰করছেন, তাই তৃণমূলের ষড়যন্ত্রেই তাঁকে এভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ এক বাক্যে খারিজ ♋করে দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে?
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ꦆঅনুসারে, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি বর্ধমানে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তুমুল অশান্তি ছড়ায়। সূত্রের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সেই ঘটনা ঘটে।
শোনা যায়, সেই সময় নাকি বিজেপির তৎকালীন বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর অপসারণের দাবি তুলে সরব হয়েছিল দলেরই অন্য একটি গোষ𓂃্ঠী। যার জেরে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
যার রেশ গড়ায় দলীয় কার্যালয়ে হাম🏅লা ও ভাঙচুরের ঘটনায়। এমনকী, তাণ্ডব চলাকালীন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সেইসঙ্গে, হামলাকারীরা বিজেপিরই এক কর্মীকে আটকে ♏রেখে মারধর করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সꦍেই ঘটনার জন্য সন্দীপ নন্দী,সুনীল গুপ্ত-সহ দলেরই বেশ কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে অ🦋ভিযোগ দায়ের করেন লক্ষ্মীকান্ত দাস নামে এক বিজেপি কর্মী। তার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
পুরোনো সেই মামলার জেরেই শনিবার সুনীল গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে সুনীলের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। স্বাভাবিকཧভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
জামিনে মুক্ত বিজেপি নেতার বক্তব্য:
সুনীলের বক্তব্য, তিনি বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী। এলাকার সংগঠনের কাজেও যুক্ত রয়েছেন। সেই কারণেই রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা 🌌করছে।
এছাড়া, তাঁদের এলাকায় বিজেপির অন্দরে সংঘাত বা꧒ বিবাদ থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন সুনীল।
তৃণমূল কংগ্রেসের জবাব:
সুনীল তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, তা উড়িয়ে দিয়েছে🍰 স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের পালটা যুক্তি, যা ঘটেছিল বিজেপির পার্টি অফিসে ঘটেছিল। হামলাকারী ও আক্রান্ত - দুই পক্ষই এখানে বিজেপির!
এমনকী, যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং যিনি গ্রেফতার 🐷হয়েছেন, তাঁরা দ🌟লীয় সহকর্মী। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কী ভূমিকা থাকতে পারে? ঘাসফুল শিবিরের পালটা দাবি, বিজেপি নিজের ঘরের কোন্দল ঢাকতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে শিখণ্ডী করতে চাইছে।