বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে খড়দা থানার সামনে দলীয় কর্মী–সমর্থকদের বিক্ষোভ অবস্থান পরিণত হল রণক্ষেত্রে। স্থানীয় যুব নেতা বুলেটকুমার রায়কে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে দফায় দফায় বি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী🌠–সমর্থকরা। আর পাল্টা তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশে ও র্যাফের বিরুদ্ধে। বিজেপি–র অভিযোগ, এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মহিলা–সহ বেশ কয়েকজন কর্মী–সমর্থক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বিজেপি যুব নেতা বুলেটকুমার রায়কে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেফতার করে খড়দা থানার পুলিশ। কিন্তু কেন গ্রেফতারি? ২৬ ডিসেম্বর পানিহাটি পুরসভা এলাকায় তেজপালের মাঠে জনসভা করার কথা♍ তৃণমূলের। এদিন সেই জনসভার মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী–সম🙈র্থক মোবাইলে তাঁদের ছবি তুলছিলেন। সে নিয়ে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। আর তখনই বিজেপি যুব নেতা বুলেট তাঁদের লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে ভয় দেখায়।
সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় খড়দা থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুলটেকুমার রায়কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর তার পরই বিজেপি–তৃণমূলের মধ্♌যে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। বিজেপি–র অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় বিজেপি–র যুব নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে এ🌺দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ খড়দা থানার সামনে বি টি রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। আধঘণ্টা অবরোধ করার পর তাঁরা থানার সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন।
থানার সামনে ক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে খড়দা থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এর পরই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। কাতারে কাতারে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা হাজির হন খড়দা থানার সামনে। বুলেটকুমার রায় ও অন্য বিজেপি কর্মীদের দ্রুত মুক্ত করতে হবে— এই দাবি তুলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সে সময় বেশ কিছু বিজেপি কর্মী–স▨মর্থক ফের ব🅠ি টি রোড অবরোধ করলে পুলিশের একটি দল তাঁদের বোঝাতে সেখানে যায়। তখনই প্রথমে বচসা, তার পর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের দাবি, সেই সময় তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারী ওই বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা।
তার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে র্যাফ। থানার ভেতর, থানার চত্বরে লাঠꦜিচার্জ করা হয়। বিজেপি–র অভিযোগ, এই ঘটনায় দলের বেশ কয়েকজন কর্মী–সমর্থক গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও। এদিন টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘটনা অমানবিক।’ তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলকর্মীতে পরিণত হয়েছে। তাদের এখন তৃণমূলের পতাকা হাতে নেওয়া উচিত।’
পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মলকান্তি ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, ‘কে কী বলেছে আমার দেখার দরকার নেই। বিজেপি হল অসভ্য, বর্বরদের দল। ওরা থানায় ঢুকে পুলিশের রিভলবার কেড়ে নিতে চেয়েছে। পুলিশক🃏ে ধাক্কা দিচ্ছে। পুলিশ তো আর তাদের হাতে রসগোল্লা দেবে না! রাস্তা অবরোধ করছে। সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরতে পারছে না মানুষ। এরা রাজনীতি করতে এসে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।’