বিজেপি নেতাদের বাড়ির কাছে অবস্থান বিক্ষ꧙োভের আয়োজন করায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে চলেছে বিজেপি। রবিবার তৃণমূলের কর্মসূচি যখন শেষলগ্নে তখন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে একথা জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার আদলতের কাঠগড়ায় পৌঁছতে চলেছে তৃণমূল – বিজেপির লড়াই।
প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রাꦫꦫয়ের স্মরণসভায় যোগদান করতে রবিবার ধূপগুড়ি যান শুভেন্দুবাবু। স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও তৃণমূল কর্মসূচির আয়োজন করায় আমরা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনব। বিধি মেনে সেই অভিযোগ দায়ের করা হবে। যারা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি দেখিয়েছে তাদের আইনের ক্ষমতা বোধাতে যা করার আমরা করব। ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে আমি ফের আদালতের দ্বারস্থ হব।’ শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ‘এদিনের কর্মসূচিতে তেমন সাড়া পড়েনি। মানুষ এই কর্মসূচিকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।’
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্লক থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করবেন বলে জানান তিনি। অভিষেকের পর মমতা 🌺বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে উঠে জানান, কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। আর বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে হবে কর্মসূচি।
তৃণমূলের সেই কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে যান শুভেন্দু অধিকারী। ৩১ অগাস্ট সেই মামলার রায়ে হাইকোর্ট পুলিশ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভর্ৎসনা করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা এই ধরণের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন না। এটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে। পুলিশকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, সপ্তাহের কাজের দিনে পুলিশ কী করে এই কর্মসূচির অনুমোদন দিল। সাধারণ মানুষের ভালোমন্দ নিয়ে পুলিশের কোনও ভাবনা আছে বলে তো মনে হয় না। এরই মধ্যে দেশ ছাড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা🅷য়।
এর পর নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৬ অগাস্ট কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ🅷্ধে ধরনা কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল।’