ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতি রুখতে ই-টেন্ডার ব্যবস্থায় চালুর ওপর জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী ২০২২ সালে ১ লক্ষ টাকার ওপর যে কোনও টেন্ডারে ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক করেছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু তা🅺র পরও রাজ্যের প্রায় সমস্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েমের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। অভিযোগ ছিল, ই-টেন্ডার চালু হলেও তৃণমূল নেতাদের অনুমতি ছাড়া দরপত্র জমা দিতে পারে না কেউ। সেই অভিযোগ যে অমূলক নয় তার নজির দেখা গেল মুর্শিদাবাদে। জেলার জলঙ্গিতে রাস্তা তৈরির টেন্ডার প্রত্যাহার করে নিতে বলে ঠিকাদারকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। ফোন করার কথা স্বীকার করলেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূলের জলঙ্গি দক্ষিণ ব্লক সভাপতি মাসুম আলি আহমেদ।
জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির চাঁদের পাড়ায় একটি পাকা রাস্তা তৈরির জন্য বিডিও অফিস থেকে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। ই – টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আহ্বান করা হয়েছিল দরপত্র। ইয়ারুল মণ্ডল নামে এক ঠিকাদার দরপত্র জমা দেন। ৩০০ মিটার রাস্তা তৈরির জন্য আনুমানিক খরচ🌳 ধরা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, ওই দরপত্র প্রত্যাহারের জন্য গত ৭ মার্চ বিকেলে ইয়ারুলকে ফোন করেন মাসুম। ওই ঠিকাদারকে তিনি বলেন, ‘ই – টেন্ডার থেকে নাম তুলে নিন।’ দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় ইয়ারুলকে মাসুম হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমাকে ফরিদপুরে থাকতে দেব না, কাজও করতে দেব না। পুলিশ সুপার থেকে আদালত যাকে খুশি গিয়ে অভিযোগ করো। আমাকে দল সাসপেন্ড করলেও আমি কাজ ছাড়ব না।’
ওই ঠিকাদার 🔯বলেন, ‘তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আমাকে ফোনে হুমকি দিয়েছেন। সেই কল রেকর্ড আমার কাছে আছে। কিন্তু খুব ভয়ে আছি। পুলিশে অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছি না। তবে বিডিওকে জানিয়েছি।’
ফোন করার কথা স্বীকার করলেও মাসুম বলেন, ‘হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ওটা এডিট করে বানানো হয়েছে। আমার বি🐻রুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’