সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে চাইছে ইডি। তাই তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আর গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। তাই তারা আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্🍸ট। সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে সিবিআই। সোমবার সেখানে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হতে চলেছে।
বিষয়টি কেন এমন 𓆉ঘটতে চলেছে? সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল এখন আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর বহুদিন কেটে গেলেও সিবিআই বড় কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। আদালতে চার্জশিট দিয়ে তাঁকেই গরুপাচারে মূল সাহায্যকারী বলা হলেও প্রমাণ করা কঠিন। তেমন নথি সিবিআই পায়নি। ফলে জামিনের রাস্তা পরিষ্কার হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু তাঁকে আটকে রাখতে এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিজেদের হেফাজতে অনুব্রতকে নিতে চায় সিবিআই। আসলে চারদিক দিয়ে বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সুপ্রিম কোর্টে কেন গেল সিবিআই? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে বহুবার তলব করেছিল সিব♛িআই। তখন হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। পরে গ্রেফতারের আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান তিনি। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে অনুব্রতকে, এই শর্ত দিলেও সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না বলেও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট🥀। ওই নির্দ♛েশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে সিবিআই। তাঁদের যুক্তি, অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচ আগাম জামিনের সমান। তাতে তদন্ত থমকে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা💖য় হাইকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে গরু পাচার মামলায় একই আবেদন করেন। যদিও তাতে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। তার পরেই বীরভূমের এই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এখন তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। সেখান থেকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছেন সিবিআই অফিসাররা।