প্রায় তিন বছর পর রানাঘাটের সাংসদ বিꩵজেপির জগন্নাথ সরকারের দেহরক্ষী প্রত্যাহার করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। পুরসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিষয়টি সামনে আসতেই জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দলের অন্দরে জগন্নাথ–বিরোধী শিবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। হঠাৎ করেই কেন সাংসদের দেহরক্ষী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল? এই বিষয়ে দলের প্রতি একরাশ অভিমান উগরে দিয়েছেন সাংসদ।
এখানে আরও একটা বিষয় হল, তাঁকে না জানিয়েই তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। এౠই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও চিঠি দিয়েছেন সাংসদ। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের পর মোদী সরকার দলীয় সাংসদদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেহরক্ষী হিসেবে দু’জন করে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করেছিল। এতদিন একে–৪৭ 💙রাইফেল হাতে জগন্নাথবাবুর সঙ্গে দু’জন জওয়ানকে সবসময় দেখা যেত।
লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর জগন্নাথবাবু নদীয়া জেলায় বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন। দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তিনি ‘বাংলার গুডবয়’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই তাঁকে একুশের নির্বাচনের সময় শান্তিপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়। তখন নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। যদিও𓄧 পরে সাংসদ পদে বহাল থাকতেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন জগন্নাথবাবু। এরপর উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। নদীয়া জেলার আটটি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্র গেরুয়া শিবিরের দখলে থাকলেও পুরসভা নির্বাচনে দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। তাই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাংসদের প্রতি ক্ষুন্ন। আর তা থেকেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন রানাঘাটের সাংসদ? এই ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘পনেরো দিন আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার যে নিরাপত্তা দিত তা আরও আগে তুলে নেওয়া হয়েছে। আমার দেহরক্ষী নেই। দেহরক্ষী না থাকলে মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই দেহরক্ষী নিয়ে আমি বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছি না। তবে কেন দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে? 🎀তা নিয়ে আমি খোঁজ নিইনি। খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনও মনে করি না। কেন নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল আমি জানি না।’