আদালতের নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছ🍎ে। গ্রামে ফিরলেন ছত্রধর মাহাতো। মঙ্গলবারই তিনি এনআইএ মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন। অনেকেই অপেক্ষা করছিলেন কবে খাসতালুকে পৌঁছবেন ছত্রধর মাহাতো। অবশেষে গেলেন তিনি। রবিবার দুপুর। নিজের গ্রাম। ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার আমলিয়া গ্রামে গেলেন তিনি। সেই জঙ্গলমহল।
জেলায় প্রবেশের আগে লোধাশুলি। সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল সংবর্ধনা মঞ্চের। আর সেখানে সংবর্ধনা দেওয়া হল ছত্রধর মাহাতোকে।
একটা সময় তিনি ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। পরেꦬ জেলে যেতে হয় তাঁকে। অ💎বশেষে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি এলেন নিজের গ্রামে। তবে ফের কি তিনি ফিরবেন রাজনীতিতে?
সরাসরি তার উত্তর মেলেনি। তবে সামাজিক🅰ভাবে মানুষের পাশে যে তিনি থাকবেন তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ছত্রধর।
এবার কী করবেন?
ছত্রধর জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামে ফিরে আদিবাসী, মূলবাসী মানুষের কাজ করব। এর বেশি এখনও কিছু ভাবনাচিন্তা করিনি। আজ আমি আমার সঙ্গীসাথীদের পাশে পেয়েছি। পরিষ্কার জলের মতো একটা মিথ্য়া মামলা দিয়ে আটকে রেখেছিল। বিজেপির নাম তিনি করেননি। তবে নিশানায় তারাই। ছত্রধর বলেন, এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রের মাধ্য়মে জ💖য়লাভ করতে পারছে না। তার জন্য বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপর আক্রমণ শানাচ্ছে।
রাজনীতিতে ফিরছেন? দল দায়িত্ব দিলে কী করবেন?
ছত্রধরের কাছে উত্তরটা খুব পরিস্কার। তিনি বলেন, দল কী দায়িত্ব দেবে সেটা সম্পূর্ণ নেত্রীর উপর নির্ভর করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের সুখেꦜ দুঃখে থাকব।
ছত্রধর মাহাতো। বর্ণময় চরিত্র। ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস আটকেছিল মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটির লোকজন। সেই সময় ছত্রধর ছিলেন জেলে। তার মুক্তির দাবিতে রেলের চাকা বন্ধ করা হয়েছিল। আর সেই মামলায় ছত্রধরকেই অভিযুক্ত করেছিল এনআইএ। এরপর ২০২১ সালে সেই পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ছত্রধরকে। দেড় বছর পরে হাইকোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। কি্ন্তু গ্রামে ফেরার অনুমতি ছিল না। থাকতেন কলকাতায়। অবশেষে মঙ্গলবার পুরনো মামলায় রেহাই পꦅেলেন ছত্রধর সহ ಞপাঁচ অভিযুক্ত। এরপর ফিরলেন গ্রামে।
এদিকে ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতো জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী। এবার ছত্রধর পার্টির কাজে ক🐬তটা সক্রিয় হন সেটাই দেখার। সেটা দেখার অপেক্ষায় জঙ্গলমহলের তৃণমূলও।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের মে মাসে ছত্রধর মাহাতো সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, ‘ছত্রধর মাহাতো বহুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালে সিপিএমের 🐲আমলে আমরা ওকে জেল থেকে ছাড়িয়ে ছিলাম। যেদিন আমরা ওকে ছাড়ালাম ঠিক সেদিনই ওকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি একটা কেস দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। আমি ভুলিনি সেদিনের কথা। আমি প্রথম জঙ্গলমহলে যাঁর হাত ধরে ঢুকি তাঁর নাম ছত্রধর মাহাতো। লালগড়ের ওদিকে চিতামণি নামে এক বয়স্ক মহিলার কান কেটে নিয়েছিল। তিনজনকে গুলি করে মেরেছিল সিপিএমের হার্মাদরা।’