একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল হুগলিতে। ওই ছাত্রীকে স্প্রে করে অচৈতন্য করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর রাতভর গণধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে বলে অভিযোগ উঠল হুগলির পোলবায়। যদিও ছাত্রীটি সকালে নিজেই সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরে বলে খবর। তবে এই নির্যাতনের ঘটনায় প🌳োলবা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। গণধর্ষণের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর ইতিমধ্যেই মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়েছে পকসো আইনের ধারায়।
পরিবার ঠিক কী অভিযোগ করেছে? ছাত্রীটির পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় টিউটোরিয়াল থেকে বাড়ি ফেরেনি ছাত্রীটি। রাত সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। টিউটোরিয়ালের শিক্ষককে ফোন করেন ছাত্রীর মা। তখন জানতে পারেন এদিন যে পড়ানো হবে না সেটা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছ𒁃িল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে রাত ১টা নাগাদ পোলবা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। তারপর আজ রবিবার সকালে নিজেই সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরে নির্যাতিতা ছাত্রী।
ঠিক কী ঘটেছিল পোলবায়? পুলিশকে নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, শনিবার📖 বাড়ি ফেরার পথে অন্ধকারে পথ আটকায় বিজন। বিজন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে। তখন তার নাকে স্প্রে করে অচৈতন্য কর🌳া হয়। স্থানীয় একটি আমবাগানে বিজন তাকে টেনে নিয়ে যায়। তারপর অচৈতন্য অবস্থায় সারারাত ধর্ষণ করা হয়। বিজনের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবক ছিল। ভোরবেলায় জ্ঞান ফিরলে ছাত্রী দেখতে পায় তার সাইকেল পাশে পড়ে রয়েছে। অভিযুক্তরা ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত থাকায় সেখান থেকে পালিয়ে আসে নির্যাতিতা। পোলবা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা প্রক🐈াশ্যে আসতেই রবিবাসরীয় সকালে হুগলি জেলায় এটাই চর্চিত হচ্ছে। এলাকার মোড়ে এই গণধর্ষণ নিয়ে নিন্দা করছেন সকলে। ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আজ ভোর ৫টা নাগাদ আমার মেয়ে বাড়িতে ফিরেছে রক্তাক্ত অবস্থায়। ওই যুবকরা ওকে রাজহাটের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। যুবকদের মধ্যে একজন আমার মেয়ের পরিচিত। বাকিরা নয়।’ এই ঘটনাটি নিয়ে হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ জানিয়েছেন, ওই কাণ্ডে সবাই ধরা পড়বে। জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। নির্যাতিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে।