আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন। বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধꦡন ও শিলন্যাস করেন তিনি। প্রশাসনিক পরিষেবা বিলির একদিন আগেই মেদিনীপুরে হেলিকপ্টারে করে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে ছিলেন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। আজ বেলা ১১টা নাগাদ এই প্রশাসনিক সভা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
গ্রামীণ রাস্তা থেকে আবাস যোজনার টাকা না দেওয়া নিয়ে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছি। গ্রামের রাস্তাগুলি খারাপ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দিচ্ছে না। আবাস যোজনার টাকা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয়। রাজ্য–কেন্দ্র মিলে করে। রাজ্য থেকে জিএসটি’র টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। সেই টাকারই ভাগ দেয় না। বলছে, আধার লিঙ্ক না থাকলে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেবে না। গরিব মানুষ কীভাবে আধার লিঙ্ক করবে? কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। বꦦঞ্চনা করছে এবং মিথ্যা বলছে। ১০০ দিনের কাজে গ্রামের মানুষকে আধার লিঙ্ক করতে বলছে অনলা🍎ইনে। জীবনটাই অনলাইন করে দিতে চাইছে এরা। সব গ্রামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ লিঙ্ক করতে বলছে। বিজেপি নেতাদের কথায় কেন্দ্র আমাদের কোনও টাকা দিচ্ছে না।’
এদিকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকাℱরি পরিষেবা প্রদান অনুষ𝓡্ঠানের মঞ্চ থেকে এই নিয়ে মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এখান থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সুর সপ্তমে চড়িয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যꦉান বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আটকে রয়েছে। সরকার পরিকল্পনা করলেও কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানকে অনুমোদন দিচ্ছে না। রাজ্যের মন্ত্রীরা দিল্লি গিয়ে এই নিয়ে কথা বলার পরও অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
অন্যদিকে মেদিনীপুরের সভা সেরে এরপর মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাবেন পুরুলিয়ায়। সেখানে হুটমুড়া ময়দানেও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর রাতেই বাঁকুড়ায় যাবেন। আগামীকাল, শুক্রবার সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান সেরে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সবার নজর এখন সেদ😼িকেই। তবে আজ তিনি পরিষেবা নিয়ে বার্তা দেন, ‘২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পর এভাবে পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে না। 🦋তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলির জন্য এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে আমি পুরুলিয়াতে চলে যাব।’