একবার তাঁকে দেꦦখা গিয়েছিল, রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে মোমো তৈরি করতে। প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলে তাঁকে দেখা গিয়েছিল রাস্তার ধারে গুমটিতে ঢুকে চা বানাতে। এবার দার্জিলিংয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা বানিয়ে সকলকে খাওয়ালেন তিনি। হ্যাঁ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ফুচকা বানাতে দেখে আট থেকে আশি সকলেই ভিড় জমান ফুচকা স্টলের সামনে। হাসি মুখে মুখ্যমন্ত্রী সবার হাতে তুলে দিলেন নিজের বানানো ফুচকা।
ঠিক কী ঘটেছে দার্জিলিংয়ে? আজ, মঙ্গলবার জিটিএ’র শপথ𒈔। সেই অনুষ্ঠান সেরে তিনি পাহাড়ে হাঁটতে 🍰বেরিয়ে পড়েন। চলে আসেন রিচমন্ড হিলে। তারপর সেখান থেকে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার পথে এগোন। সেখানেই ফুচকা বিক্রেতার স্টল চোখে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তখনই নিজে হাতে ফুচকা বানিয়ে সকলকে খাওয়াতে এগিয়ে যান তিনি। ফুচকা বিক্রেতার হাতে টাকা ধরাতেও দেখা যায় তাঁর সঙ্গে থাকা একজনকে।
তারপর সেখানে ঠিক কী ঘটল? চিড়িয়াখানা যাওয়ার ওই রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই ভিড় 🎐বাড়তে থাকে। ফুচকার স্টলে দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চামচের ডাঁটি দিয়ে ফুচকা ভ🗹েঙে, তার মধ্যে একে একে আলু–মটরের পুর, মশলা ভরে উপস্থিত মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এমনকী ছোটদের হাতেও তুলে দেন তিনি। তারপর দার্জিলিং কফি হাউজের উদ্বো🦂ধনে গানও গেয়ে শোনান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ সকালে জিটিএ’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘পাহাড়ের দখল নিতে আসব না আমি, পাহাড়কে ভালবাসতে আসব। আমি শুধু দেখতে চাই দার্জি൲লিং ইজ স্মাইলিং, কার্শিয়াং ইজ অলসো স্মাইলিং। কে, কোন দলের ভুলে যান। মানুষের জন্য কাজ করুন। পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। তাই জিটিএ চায় পাহাড়।’ এখানে একজন বাংলাদেশি পর্যটক ছিলেন। তাঁকেও ফুচকা খাওয়ান মুখ্যমন্ত্রী।