কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল সম্পূর্ণভাবে কোভিড বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলা করা💖তে হবে। কিন্তু, পৌষ সংক্রান্তিতে সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গঙ্গাস্নানে শামিল হলেন লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থী। বিধিনিষেধ কার্যত 'ফস্কা গেরো' বলা চলে।
অসংখ্য পুণ্যার্থীর মুখে মাস্ক তো ছিলই না, তেমনি পূণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছে মকর সংক্রান্তির স্🐲নানে। আর এতেই আশঙ্কা ত🌄ৈরি হয়েছে করোনার ভয়াবহ রূপ নিয়ে। বড়দিন এবং বর্ষবরণে জনতার ভিড়ের পরেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল করোনা সংক্রমণ। সে ক্ষেত্রে গঙ্গাসাগরের ফলে কি কোভিড আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে না তো! তা এখন ভাবিয়ে তুলছে চিকিৎসক মহল এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
গঙ্গাসাগরে বিধি-নিষেধকে তোয়াক্কা না করে যেভাবে পুণ্যার্থীদের দেখা গিয়েছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'আদালতের যা শর্ত ছিল এবং যা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা সবই জলে ভেসে গেল। রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে মানুষের স্বার্থকে বলি দিল সরকার।' তার প্রশ্ন, 'ওখানে কোনওভাবেই কি বিধিনিষেধ মানা সম্ভব?' এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়﷽েননি। তাঁর কটাক্ষ, 'মুখ্যমন্ত্রী যে সবই পারেন তা বার্তা দিতে গিয়েই গঙ্গাসাগর মেলায় অনুমতি দিয়েছিলেন। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সেই অবস্থায় এরকম কাজ করা মোটেই উচিত হয়নি।' তার সংযোজন, 'মুখ্যমন্ত্রী এরপর ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে পারবেন করোনা সংক্রমণ আমাদের এক নম্বরে রেখেছে।'
তবে শুধু সুজন চক্রবর্তীই নন, গঙ্গাসাগর মেলার বিরোধিতায় বিরোধিতায় প্রথম থেকে সরব হয়েছেন বিজেপি, 🤡কংগ্রেস।অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে করোনা সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গ হয়তো দেশের শিখরে পৌঁছে যেতে পারে।
এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন ড্রোনের মাধ্যমে স্নানের ব্যবস্থার পাশাপাশি ই-স্নানের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু, সে স্নানে পুণ্যার্থীদের আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। যদিও সরকারের দাবি অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছ🤪র গঙ্গাসাগরে চার ভাগের এক ভাগ লোক হয়েছে মাত্র। যার মধ্যে শুধুমাত্র একজন পুণ্যার্থীর সংক্রমণ নিয়ে ধরা পড়েছে। তবে সরকারের এই দাবি মানতে দারাজ বিরোধীরা। তাদের আশঙ্কা কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর টের পাওয়া যাবে।