সন্🐽দেশখালি থেকে মোটামুটি ঘণ্টা দুয়েকের রাস্তা। তার মধ্য়েই পড়ে গোসাবা। আর সেই꧑ গোসাবা থানার দারোগাবাবু এবার খবরের শিরোনামে। দুষ্কৃতী ধরে, এলাকা ঠান্ডা রেখে এমনটা নয়। থানা চত্বরে গো পালন করে। মানে নিজের ইচ্ছায় তিনি এমনটা করছেন তা ঠিক নয়। প্রথমে কার্যত বাধ্য় হয়েই করেছিলেন। তারপর এই অবলা জীবদের দেখাশোনায় ত্রুটি রাখছেন না পুলিশকর্মীরা।
একটা দুটো নয়। একেবারে ১৪টা গরু। আসলে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি গোসাবা থানা এলাকার শম্ভূনগর কামাখ্যাপুর ঘাট থেকে ১৪টি গরুকে উদ্ধার করে গোসাবা থানার পুলিশ। গোসাবা থানার ওসি রেফাজুল মণ্ডল সেই গরুগুলিকে উদ্ধার করেন। নৌকা করে সেই গরু পাচার করা হচ্ছিল বলে অꦦভিযোগ। এরপর পুলিশ পোর্টালে সেই গরুগুলিকে সিজ দেখানো হয়। কিন্তু সেগুলিকে ত🅷ো আর থানার মালখানায় তালাবন্ধ করে রাখা যায় না?
এরপরই শুরু হল গো পালন। থানা চত্বরেই গরুগুলিকে বেঁধে রাখা হয়। তাদের খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। এমনকী তি🤪নটি গরুর জন্য ওষুধের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাতের দিকে মশারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গরুর যাতে ♍কোনও ত্রুটি না হয় সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখছেন থানার ওসি।
তবে ১৪টি গরু রাখা কি মুখের কথা। তাদের জন্য় রোজকার খাবারের ব্যবস্থা করা। তাদের মলমূত্র পরিস্কার করা। তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। কে কখন গরু নিয়ে পালিয়ে যায় সেটাও খেয়াল রাখা। তার উপর আবার অসুখ বিসুখ হলে তাদের দেখভাল করা। পশু চিকিৎসকদের নিয়ে এসে বা পশু চিকিৎসকের কাছে গরুক💃ে দেখাতে নিয়ে যাওয়া। নিয়ম করে সেই গরুগুলিকে ওষুধ খাওয়ানো। এগুলি পর পর করতে হয়। তবে সেই কাজে কোনও গাফিলতি করেন না পুলিশকর্মীরা। বেচারা গরুগুলিই বা কোথায় যাবে। অনেকেরই মায়া পড়ে গ🐭িয়েছে। এমনকী অসুস্থ গরুটা যখন সুস্থ হয়ে ফের খেতে শুরু করছে তখন সেটা দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশিতে ভরে ওঠে পুলিশ কর্মী-আধিকারিকদের মুখ।