একুশের নির্বাচনে একটি আসনও পাননি তাঁরা। ২০১১ সালের পর থেকে ক্রমাগত সংগঠনে ঘটেছে রক্তক্ষরণ। সাংগঠনিক দুর্বলতা ঠেকানো যায়নি। তাই বারবার নানা কৌশল নিয়ে পরাজয়ের 🐼মুখ দেখতে হয়েছে ৩৪ বছরের শাসনে থাকা লালপার্টিকে। এখন বাংলা থেকে কোনও সদস্য নেই লোকসভাতেও। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোয় মার্কসীয় স্টলে এক কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে খবর। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে এই দাবি কর♍া হয়েছে। বই বিক্রির নিরিখে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি। কোটি টাকার উপর বামপন্থী ও সমকালীন রাজনীতি এবং মার্কসীয় সাহিত্যের নানা বই বিক্রি হয়েছে ওই স্টল থেকে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি দুর্গাপুজোয় স্টল দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার বেশি বই বিক্রি করেছে। যা বেশ তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। গোটা রাজ্যে প্রায় ১,২০০ বইয়ের স্টল দিয়েছিল সিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚপিআইএম। প্রত⛎্যেকবারই দুর্গাপুজোয় বুক স্টল করার জন্য সিপিআইএমের বিভিন্ন স্তরের কমিটিকে বইয়ের জোগান দেয় পার্টির প্রকাশনা সংস্থা ন্যাশনাল বুক এজেন্সি বা এনবিএ। স্টলগুলিতে লেখক হিসেবে এবারও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইগুলির বিক্রি ছিল সবচেয়ে বেশি।
এই বই বিক্রি ভাল সাড়া পেয়ে উজ্জীবিত রাজ্য নেতৃত্ব। এখন প্রশ্ন, তাহলে কী নতুন প্রজন্ম নেটদুনিয়া ছেড়ে মার্🐈কসীয় সাহিত্যের বই পড়ছে? এই বিষয়ে এক সিপিআইএম নেতা বলেন, ‘রাজ্যের সবচেয়ে বড় জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। তাই এই 💞জেলায় স্টলের সংখ্যাও বেশি। আর এখনও এই জেলায় সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে আমাদের। তাই বেশি বই বিক্রি করা গিয়েছে।’
এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আসলে এখনও বাংলার শিক্ষিত সমাজের মধ্যে বামপন্থার একটা আলাদা জায়গা♉ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির জমানায় নির্বাচন মেরুকরণের জাঁতাকলে আটকে পড়েছে।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের স্টল গত কয়েক বছরে প্রচুর বেড়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের পাশাপাশি এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত টি–শার্টও বিকিয়েছে প্রচুর। আসলে সিপিআইএম বা বাম😼পন্থীদের অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার কারণ খুঁজতে হয়তো কিছু মানুষ ওদের দলিল বা বইগুলি পড়তে চাইছে।’