এক অভিনব কায়দায় অনলাইনে প্রতারণার জাল পেতে কয়েক হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রামে। ঘটনার শিকার ঝুমুর সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রাণী মাহাতো। প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে তিনি ৪০ হাজার টাকা 📖খুইয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত তাঁ🔯র পূর্ব পরিচিতের এক ভুয়ো প্রোফাইল থেকে।
ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ঝুমুর সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রাণীর মাহাতোর পূর্ব পরিচিত ছিলেন এক উচ্চপদস্থ সরকার আমলা। তাঁরই নামে সদ্য ইন্দ্রাণীর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফ্রেন🃏্ড রিকোয়েস্ট আসে। কিছু না বুঝে উঠেই ইন্দ্রাণী ওই রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে নেন। পরে জানা গিয়েছে, ওই পূর্ব পরিচিতের যে প্রোফাই থেকে সদ্য ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এসেছে, তার প্রোফাইলটিই ভুয়ো। তবে সেই বিষয়টি জানা গিয়েছে অনেক পরে। ততক্ষণে ইন্দ্রাণী খুইয়ে ফেলেছেন ৪০ হাজার টাকা।
ইন্দ্রাণী জানিয়েছে, ওই পূর্ব পরিচিত আমলার ভুয়ো প্রোফাইল থেকে তাঁকে মেসেজ করে বলা হয় যে, আমলারই এক পরিচিত সদ্য বদলি হচ্ছেন। সেই পরিচিত ঝড়গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে তাঁর খাট, বিছানা, সোফা সেট, চেয়ার টেবিল, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন বিক্রি করতে চান। আর তা চান মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে। এতকিছু ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে শুনে তা কিনতে রাজি হয়ে যান ইন্দ্রাণী। এরপর সেইদিনই বিকেলে ইন্দ্রাণীর কাছে আসে একটি ফোন। ফোনের ওই প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ইন্দ্রাণীর পূর্ব পরিচিত সরকারি আমলার বন্ধু বলে পরিচয় দেন। জানান তাঁর বদলি হওয়ার কথাই ইন্দ্রাণীকে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল আসবাব বি𒁃ক্রির কথা। ফোনে ইন্দ্রাণীকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে কিছুটা অংশের টাকা দিতে বলা হয়। ততক্ষণে ইন্দ্রাণী সেই ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতেও প্রশাসনিক উর্দি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পান। ফলে তাঁকে সরকারি কর্মী হিসাবেই মনে হয় ইন্দ্রাণীর। ফলে সন্দেহের লেশ মাত্র ছিল না। এরপরই ঘটে আসল কাণ্ড।
হোয়াটসঅ্যাপে একটি কিউআর কোড সেই ব্যক্তি ইন্দ্রাণীকে পাঠিয়েছিল। সমস্তটা বিশ্বাস করে ইন্দ্রাণী সেই কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠান। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে জানানো হয় যে, ওই 𒁏সরকারি কর্মী দুর্গাপুর থেকে জম্মু বদলি হচ্ছেন, ফলে তাঁর জিনিসপত্র যাত্রা পথে ঝাড়গ্রামে তিনি দিয়ে যাবেন। এরপর জিনিস আর আসেনি। এদিকে, বাকি টাকা দিতে ইন্দ্রাণীকে চাপ দেওয়া হয়। সন্দেহ হতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ইন্দ্রাণী মাহাতো। জানতে পারেন, তাঁর রূর্ব পরিচিত সরকারি আমলা বর্তমানে আর ঝাড়গ্রামে পোস্টেড নন। তিনি উত্তরবঙ্গে বদলি হয়েছেন। তখনই দেখা যায় যে ইন্দ্রাণীকে তাঁর পূর্ব পরিচিত বলে যে প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রেকিয়েস্টটি পাঠানো হয়েছে, তা ভুয়ো। ইন্দ্রাণী বুঝতে পারেন যে মেসেজ তিনি ওই প্রোফাইল থেকে পেয়েছেন তার সবটাই ভুয়ো। পুলিশ বলছে তদন্ত শুরু হয়েছে, জনসাধারণকে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।