নাগাড়ে মুষলধারে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে শৈলশহর দার্জিলিং♉য়ে। আর তার জেরে ধস নেমেছে দার্জিলিং পাহাড়ি এলাকায়। এই ধসের জেরে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। তাতে সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আরও ব্যক্তির ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকার খবর মিলেছে। তবে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে গোটা এলাকায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। আজ, শুক্রবার ভিস্তাডমের কোচ থেকে ইঞ্জিন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। পরে ঠিক করা হয়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে দার্জিলিংয়ের সোম তাকভর সংলগ্ন পাতাবং এলাকায় ধস নেমেছে। তার জেরে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম বাবুলাল রাই (৫৯)। টানা বৃষ্টির জেরে মাঝরাতে হঠাৎ ধস নেমেছে। তার জেরে ভেঙে পড়ে আস্ত বাড়ি। ওই বাড়ির বাসিন্দা বাবুলাল রাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ। ধস পরিদর্শনে ঘটনাস্থলে যান দার্জিলিং মহ♎কুমা কমিটির চেয়ারম্যানও।
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে এই নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে পার্বত্য এলাকায় আরও ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুলবাজার থানার পুরদুং এলাকায় নেমেছে ধস। তবে এখানে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ধস নেমেছে বলে লোধামা যাওয়ার রাস্তা অনেকটা বসে গিয়েছে। সুত🙈রাং এখানে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার ধস নেমেছে পশ্চিম সিকিমেও। সিকিমে ধস নামায় চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ধসে মাটি চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে শিশুর। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। ভূমি ধসে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশাল ইস্পা﷽ত কারখানা গড়ছে সেইল, বার্নপুরে বিনিয়োগ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা
আর কী জানা যাচ্ছে? উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। লাগাতার ব𓃲ৃষ্টি চলছে দার্জিলিংয়ের পার্বত্য ও সংলগ্ন সমতল এলাকায়। দার্জিলিং ছাড়া জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারেও ব্যাপক বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। তাই জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। বৃষ্টিতে এখানে বাড়ছে তিস্তার জল। এমন লাগাতার বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উত্তরবঙ্গবাসী। দমকল ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটির নীচ থেকে বাবুলাল রাইয়ের মৃতদেহ বের করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতারা ঘটনাস্থলে যান।