আরজি কর কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতেই কি ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যে সংঘর্ষ হতে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মুখ্যমন্ত্রীর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এমনই প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বেলডাঙার ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু দাবি করেন, সপ্তাহতিনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেজন্য পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উপরে বিশেষভাবে নজর দিতে বলেছিলেন। তারপর থেকে কতজন চক্রান্তকারীকে পাকড়াও করা হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কীভাবে পুজোর সময় অশান্তি ছড়াল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন,♒ হিংসার ঘটনায় কি মমতার রাজনৈতিক ফায়দা হল?
‘ওদের মাথাই হচ্ছে মরুভূমি, শুধু দুষ্টুমির চক্রান্ত করে’
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যে ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন, তা ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ধেয়ে আসার আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের দৃশ্য ছিল। সেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন♔্ত্রী দাবি করেছিলেন যে কলকাতায় একটা হিংসা ছꦉড়ানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেটার নেপথ্যে যাঁরা আছেন, তাঁদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও অভিহিত করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'ওদের মাথাই হচ্ছে মরুভূমি। শুধু দুষ্টুমির চক্রান্ত করে। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে হবে।'
বেলডাঙায় NIA তদন্তেরও দাবি তুলেছে BJP
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর♉ সেই নির্দেশের পরে রাজ্যের কয়েকটি প্রান্তে গন্ডগোল হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা। বেলডাঙায় যে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তা নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা। ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএয়ের তদন্তের দাবিও তোলেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
বেলডাঙার ঘটনা নিয়ে পুলিশ কী বলেছে?
তারইমধ্যে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় গত রাতে (শনিবার রাতে) যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে কয়েকটি অংশের তরফে ভুয়ো তথ্য এবং গুজব ছড়ানোর যে বিদ্বেষপূর্꧟ণ প্রচেষ্টা চলছে, সেটা নিন্দনীয়। (গত রাতে) বেলডাঙায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। যেখানে সেই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ১৭ জনকে গ্রেফতার করে ভাঙচুর এবং হিংসার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।’
সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘জেলার কোথাও কোনও প্রাণহানি হয়নি। ছয়জন আহত হয়েছেন এবং তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। (পুরো পরিস্থিতির উপরে) পুলিশ কড়া নজর রেখেছ❀ে। শান্তি বিঘ্নিত করতে যাচাই না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য এবং পরিসংখ্যান ছড়ানো হচ্ছে, তাতে দয়া করে কান দেবেন না। যারা আইন ভেঙেছে এবং যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’ আপাতত পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।