ইলিশের আশায় জাল ফেলেছিল মৎস্যজীবীরা। কিছুক্ষণ পরই টানতে গিয়ে ভারীও লাগে পেশিতে। তখন মনে করেছিলেন মৎস্যজীবী জালে বুঝি উঠল দেদার রপোলি ফসল। কিন্তু যতই দেদার রপ♋োলি ফসল উঠুক তা টেনে পাড়ে কেন তোলা যাচ্ছে না? নিজের মনেই প্রশ্ন ওঠে মৎস্যজীবীর। তখন অন্যান্যদের সাহায্য চান ওই মৎস্যজীবী। সকলের সাহায্য নিয়ে জোর লাগিয়ে পাড়ে তোলা হল জাল। কিন্তু এ কি! এতো মাছ নয়। বিশাল আকারের ‘হাঙর’। ওজন মেপে দেখা যায় প্রায় ৬ কুইন্টাল♌। যা দেখতে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। আর তা দেখেই দেদার সেলফি তোলাতে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। তবে মরশুমের প্রথম ইলিশও ধরা হয়েছে দিঘাতে।
এদিকে এই ৬ কুইন্টাল ওজনের হাঙর ধরা পড়ার পর সেটিকে নিয়ে আসা হয় দিঘার মোহনা বাজারে। রাখা হয় একটি ট্রলিতে। তখন আমজনতা দেখতে ভিড় জমান সেখানেও। তখনও দেদার ☂ছবি ওঠে। অনেকে আবার মাছের মুখ খুলিয়ে দাঁতের ছবিও তোলেন। সেলফিও তুলতে থাকেন তাঁরা। দিঘার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে হাঙরের দর্শন পেয়ে খুশি পর্যটকরা। সম্প্রতি একটি বিশাল আকৃতির মাছও ধরা পড়েছিল দিঘায়। তারপর এই হাঙর ধরা পড়ায় সৈকতনগরীতে এখন খুশির হাওয়া। ইলিশ মাছও এবার দিঘা মোহনাতে ♍প্রচুর পরিমাণে উঠেছে।
অন্যদিকে শুধু স্থানীয়রা নয় বিশালাকার এই হাঙর দেখতে দিঘা বাজারে ভিড় জমাতে দেখা গেল পর্যটক𓂃দেরও। রোজকার জীবন–জীবিকা নির্বাহ করতে বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। দু’চোখে স্বপ্ন ছিল রূপোলি ফসল ঘরে তোলার। তাই ই🌌লিশ ধরতেই জাল ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রূপোলি শস্যের পরিবর্তে হাঙর উঠে আসবে এটা কেউ ভাবতেও পারেননি। এত বড় হাঙর পেয়ে তা বাজারে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। কিন্তু কেন হাঙর উঠে এল? তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যসভায় ভোট দিꦯতে যাব না’, কেন হঠাৎ বেঁকে বসলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক
আর কী জানা যাচ্ছে? সাধারণত হাঙর সমুদ্রেই থাকে। তবে তা থাকে গভীরে। মাছ ধরতে গিয়ে হাঙর ধরা পড়ার কথা নয়। আগে যে এমন ঘটনা ঘটেনি তেমন নয়। তবে এটা একেবারেই বিরল ঘটনা। এবার গরমের জন্য পর্যটকরা দিঘার সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমান। সেটা টের পায় হাঙররাও। তাছাড়া মরশুমের ইলিশღ ধরতে মাঝ সমুদ্রে পৌঁছে যায় ট্রলারগুলি। সাধারণত মাঝ সমুদ্রে থাকে হাঙর। এবার মৎস্যজীবীদের জালে ভুল করে ঢুকে পড়ায় আটকে যায় হাঙর। আর তা টেনে ডাঙায় তোলে মৎস্যজীবীরা। ওঠে দেদার সেলফিও। তাতেই আনন্দে আটখানা মৎস্যজীবী থেকে পর্যটকরা।