মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। কারণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির হুঁশিয়ারি, ওরা (কুড়মিরা) বেশি বাড়াবাড়ি করলে সব ক’টা নেতার কাপড় খুলে নেব। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে। এই মন্তব্যকে ‘কুরুচিকর’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কুড়মিরা। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় দিলীপ ঘোষের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি সাংসদ ক্ষমা চেয়ে 🐷মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে জঙ্গলমহলে আরও তীব্রতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন কুড়মি সম্প্র🌱দায়ের মানুষজন। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। অফিস লক্ষ্য করে ইটও ছোড়ে।
এদিকে কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে জঙ্গলমহলে দিলীপকে 'নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বঙ্গ–বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ। ভিডিয়ো পোস্ট করে সাফাই দেন তিনি। আর কুড়মি সমাজের গর্জে ওঠাকে থামাতে চান তিনি। একইসঙ্গে সুর নরম করেন তিনি। কিন্তু কোথাও তিনি ক্ষমা চাননি। তাই কুড়মিদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। কারণ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন কুড়মি সমাজকে চটিয়ে দিলে তার প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে। 🎃তাই ফেসবুক পোস্ট করে মাখন লাগাতে চাইলেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছেন কুড়মি সমাজ–তৃণমূল কংগ্রেস? অন্যদিকে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ দাবি ক꧑রেছিলেন, ‘খেমাশুলিতে যাঁরা ছিল তাঁদের চাল, ডাল পাঠিয়ে আমি খাইয়েছি’। আর এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করে কুড়মি সমাজ। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মা🦩হাতো বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংসদ যদি প্রকাশ্যে না জানান, তিনি কাকে সহযোগিতা করেছেন তাহলে তাঁকে ঘেরাও করা হবে। আর জঙ্গলমহলে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।’ এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসে সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘ভাষা সন্ত্রাসের জন্য দিলীপ ঘোষ বিখ্যাত। তিনি যেভাবে কা🎃পড় খুলে নেওয়ার কথা বলছেন, তাতে কুড়মিদের আন্দোলনকে ছোট করছেন উনি। আমরা কুড়মিদের পাশে আছি।’
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ফেসবুক পোস্টে? সোমবার তাঁর মন্তব্যের পর যে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যাবে তা বুঝতে পারেননি বিজেপি সাংসদ। যখন দেখলেন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বিষয়টি তখন ফেসবুক পোস্ট করলেন। সেই ভিডিয়ো পোস্টে তিনি বলেন, ‘কুড়মি সমাজ বঞ্চনার শিকার, তাদের এই আন্দোলনকে সম্মান জানাই এবং তাঁদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা আছে। বিজেপি কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে যায় না। আমার এলাক♍ায় যাঁরা বসেছিলেন তাঁদের আমি সহযোগিতা করেছি। রোদ্দুরে গরমে তাঁরা কষ্টে ছিলেন বলে আমি সেখানে লোক পাঠিয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি কিছু বলতে যাইনি, তাঁরা যখন আমার রাস্তা আটকেছেন তখন প্রশ্ন করেছি কী করছেন তাঁরা। আর চাইলে আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে নাম নিয়ে বলব কে নেতা, কী করেছে। তাই তাঁরা যাঁরা নিজেদের সমাজের জন্য আন্দোলন করছেন, অধিকার নিয়ে করুন। আমাদের সহমর্মিতা আছে। রাজনীতি করতে গেলে রাজনীতির উত্তর দিতে হবে।’