লোকসভা নির্বাচনও মিটল। সঙ্গে সঙ্গে পানীয় জলের সমস্যাও মিটল শিলিগুড়িতে। আজ, রবিবার বিকেল থেকেই তিস্তার জল শিলিগুড়ি পুরসভা সরবরাহ করবে বলে জানিয়ে দিলেন মেয়র গৌতম দেব। পাঁচদিন ব্যাপী পানীয় জল সংকট দেখা দিয়েছিল এখানে। শিলিগুড়ি পুরসভার বাসিন্দারা তাতে চাপে পড়েছিলেন। অবশেষে রবিবার বিকেলেই বাসিন্দাদের দুয়ারে পৌঁছল পানীয় জল। স্বস্তি মিলল সকলের। আর এই স্বস্তির পিছনে রয়েছেন বাংলার ম꧟ুখ্যমন্ত্রী 🔴মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএইচই) এবং সেচ দফতরের সঙ্গে শিলিগুড়ি পুরসভা আলোচনা করে। তখন পানীয় জল কেমন করে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে তা বাতলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তিস্তা থেকে জল সরবরাহ স𓃲্বাভাবিক করা হয়েছে। সেই জল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তা পান যোগ্য। এই বিষয়ে গৌতম দেব 🀅বলেন, ‘একাধিক দফতর সহযোগিতা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে বারবার কথা হয়েছে। তাঁর হস্তক্ষেপে দ্রুত সমস্যার সমাধান হল। তাঁর নির্দেশ মতো কাজ হয়েছে।’ আর তারপরই ২৫, ২৬, ২৭, ২৯, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ২৮, ২০, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনী শূন্যতা’ কি কাটবে সিপিএমের? বুথফেরত সমীক্ষ💖া নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা
মহানন্দা নদী সংস্কার করা হবে। তার জন্য সেচ দফতর কাজ করবে। সহযোগিতা করবে কেএমডিএ। এই সংস্কারের কাজ করতে ৬০০ কোটি ব্যয় হবে। শহরে পানীয় জলের সংকট চিরতরে মিটবে। আজ বিকেল থেকে শিলিগ🏅ুড়িতে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে ব্যারেজের ক্ষতি হয়েছিল। তাই মেরামতির জন্য তিস্তা থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এই কাজে এক মাস সময় লাগার কথা ছিল। মেয়রের বক্তব্য, ‘আমাদের এখানে পিএইচই জল সরবরাহ করে। মহানন্দার জলের রিপোর্ট আসার পরই আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। কিছু লুকোনো হয়নি। শহরে এই বিষয়ে প্রচারও করা হয়েছে।’
শিলিগুড়ি পুরসভা এতদিন ধরে তিস্তা নদীর জল পরিশ্রুত করে বাসিন্দাদের সরবরাহ করত। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হড়পা বানের জে𓆉রে তিস্তার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গজলডোবায় তিস্তার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাঁধ সংস্কার করতে সময় লাগছিল। তাই তিস্তার জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। আর জলের সমস্যা মেটাতে কদিন মহানন্দার জল বাসিন্দাদের সরবরাহ করা হচ্ছিল। যদিও গত বুধবার মহানন্দার জল নিয়ে একটি রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায়, জলের বিওডি অর্থাৎ বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বেশি আছে। তাই শিলিগুড়ি পুরসভা ওই সরবরাহ করা পানীয় জল পান করতে নিষেধ করে। বদলে জলের পাউচ পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন অবশেষে এই সমস্যা কাটল।