দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে দেখা নেই সরকারি আধিকারিকদের। ওদিকে ফর্ম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক বন্দুকধারী দুষ্কৃতী। এই অভিযোগে ক্যাম্পে ভাঙচুর চালালেন তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতি। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটি খুন্তি অঞ্চলের দিঘলব꧃স্তি প্রাথিমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকারি সুবিধা পেতে আগে থেকেই সেখানে জমা হতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে ছিলেন বহু রোজাদার। বেলা সাড়ে এগারোটার নাগাদ সরকারি কর্মীরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজির হন। ক্যাম্প চালু হলেও সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসিরা ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দিঘলবস্তি প্রꦏাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃনমূল অঞ্চল স♚ভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিল। দেরিতে ক্যাম্প চালুর পরেও সাধারণ মানুষ সরকারি প্রকল্পের ফর্ম না পাওয়ায় ক্যাম্পের চেয়ার – টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন তিনি। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আগডিমটি খুন্তি অঞ্চলের সরকারি আধিকারিক সাগরাম সোরেন 𝓰জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। তবে কোন টেবไিলে কী সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে তা লিখে দেওয়া হয়নি। যার জেরে অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এই নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলেন, একে তো মানুষ রোজা রেখে সরকা♐রি সুবিধা পেতে রোদের মধ্যে অপেক্ষা করছেন। যাও বা ক্যাম্প চালু হল দেখি সরকারি ফর্ম বিলি করছে এক বন্দুকধারী দুষ্কৃতী। তখনও বেশ কয়েকটি টেবিলে সরকারি কর্মচারীরা এসে পৌঁছননি। আমি সেই টেবিল গুলি ফেলে দিয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নিজের দলের সরকারের কর্মীদের অর্কমণ্যতার প্রতিবাদ করতে স্কুলের টেবিল ভাঙচুর করে কার ক্ষতি করলেন আকবর আলি?