আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যে ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। আজ, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। এই আবহে রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজো বাবদ অনুদানের অর্থ দিয়ে নারী সুরক্ষার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল মালদা জেলার একটি পুজো কমিটি। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এমন অভিনব উদ্যোগ আগে কোনও পুজো কমিটিকে নিতে দেখা যায়নি। বরং প্রতিবা꧟দ দেꦉখিয়ে সরকারি অনুদান ৮৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া চলছে নানা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।
এবার সেখানে রাজ্য সরকারের অনুদান নিয়ে তা সামাজিক কাজ🔜ে লাগাল মালদার নেতাজি ক্লাব। এখন নারী নিরাপত্তা, নারী স্বাধীনতা এবং নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রচুর বক্তব্য শোনা যাচ্ছে শহর থেকে গ্রামবাংলার রাজপথে। সেখানে এবার নারী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদানের ৮৫ হাজার টাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এলাকায়। এই পদক্ষেপে সরকারি অনুদানও নেওয়া হল, আবার সামাজিক কাজও করা হল। এই এলাকায় সিসিটিভি ছিল না। আর রাতে এখানে বহু মহিলা যাতায়াত করেন। তাই এখানে সিসিটিভি বসানো হলে তা মহিলাদের নিরাপত্তায় উপকারে আসবে।
আরও পড়ুন: অমিত শাহকে অভিযোগপত্র পাঠালেন সাংসদ জ্যোতির্ময়, কোথায় ঘটছে অনুপ্রবেশ?
তবে এই এলাকার সুরক্ষা এবং নারী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে সেটার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। এই বিষয়ে নেতাজি ক্লাবের সম্পাদক অরিন্দম রায় বলেন, ‘অনুদানের যে টাকায আমরা পেয়েছি তা দিয়ে এবার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা ভেবেছি। ক্লাবের আশেপাশের এলাকা জুড়ে পাঁচ থেকে ছটি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। তাতে এলাকাগুলি আরও সুরক্ষিত থাকবে। শুধু আরজিকর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদেই নয়, রাজ্য সরকার নারী নিরাপত্তায় একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তাই এলাকা𒆙য় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সবার উপকার হবে।’
শহর কলকাতায় নানা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং রাস্তায় সিসিটি🐭ভি লাগানো হয়েছে। সেসব দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গ্রামবাংলায় বা জেলার দিকে এই সিসিটিভি লাগানোর প্রবণতা কম। তাও প্রত্যেক জেলায় কিছু সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। মালদার এই পুজো কমিটি যে নয়া উদ্যো﷽গ নিল সেটা দেখে আরও অনেকে তা গ্রহণ করতে পারে। এই বিষয়ে ক্লাবের সদস্য অভিষেক চৌধুরীর বক্তব্য, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর নারী সুরক্ষা সর্বত্র একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন হচ্ছে ঠিকই তবে নারীদের সুরক্ষা কীভাবে দেওয়া যাবে তার সঠিক পদ্ধতি বলা হচ্ছে না। এই চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখেই আমরা নারীদের সুরক্ষার কথা ভেবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে।’