পড়াশোনা করার অদম্য ইচ্ছা মনে। তাই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিদ্যা শিক্ষা চালিয়ে যায় ওই ছোট্ট মেয়েটি। বাড়িতে বিদ্য♕ুৎ না থাকায় বাড়ির সদস্যদের কোনও অনুযোগ করেনি। বরং পথবাতিকেই সঙ্গী করে পড়াশোনা চালিয়ে যায় মেয়েটি। মেয়েটির মা মুখ বধির। তাই বিদ্যুৎ অফিসের দরজায় কড়া নাড়𒅌তে পারেননি। নবদ্বীপের এই পরিবার এবং তাঁদের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ঘোষের(১০) পড়াশোনা এভাবেই চলছিল। প্রত্যেকদিন প্রিয়াঙ্কা রাস্তার আলোর নীচে পড়তে বসে মেয়েটি। হীরালাল পাল রোডের এই পরিবারের কথা সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। তা দেখেই গোটা বিষয়টি জানতে পারেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তৎক্ষণাৎ কাজ হল।
এদিকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী এই খবর দেখে এবং খোঁজ নিয়ে মেয়েটির জীবন থেকে অন্ধকার সরিয়ে দিতে চান। তাই আলোর ব্যবস্থা🐭 করলꩲেন অরূপবাবু। প্রিয়াঙ্কার খবর জানার পরই ৩ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সেই নির্দেশ পেয়েই প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে ছুটে যান বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তড়িঘড়ি বিদ্যুতের সংযোগ করে দেন। বসিয়ে দেওয়া হয় মিটার। এই কাজ চলাকালীন বারবার ফোন আসছিল মন্ত্রীর। কাজ কেমন এগোচ্ছে তার প্রতিনিয়ত রিপোর্ট নেন অরূপ বিশ্বাস। তারপরই আলো জ্বলে ওঠে প্রিয়াঙ্কার ঘরে। অবাক প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে না পারলে বদলি, কড়া বার্তা দিল🐽 নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ
অন্যদিকে এমনটা যে ঘটতে পারে তা স্থানীয়ဣ মানুষজন কল্পনাও করতে পারেননি। তাই তাঁরা বলছেন, এই কাজ দেখে তাঁরা অত্যন্ত খুশি। রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এত কম সময়ে এমন কাজ সত্যিই কল্পনার বাইরে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এমন পরিবারের পাশে এস♋ে দাঁড়ানো নিঃসন্দেহে কুর্ণিশ করার মতো। কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পিছিয়ে পড়া মানুষজনের বাড়িতে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যায় সেই কাজই করেছি। তারা যেন অন্ধকারে না থাকেন সেটা দেখার চেষ্টা করেছি। বিদ্যুৎ দফতরও দারুণ কাজ করেছে। এরকম কোনও ঘটনা জানা থাকলে নিশ্চয়ই জানাবেন।’
এছাড়া ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে থাকাকালীন দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ এনে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেই ফোন করে এই ব্যবস্থা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। স্বাধীনতার এত বছর পর সেই দুটি গ্রামে আলো আসে। এখন সেখানে আলোয় ঝলমল করছে। আবার হুগলির হরিণখোলায় কলকাতা আরামবাগ রোডের চার লেন হাওয়ার জন্য পানীয় জলের লাইন কাটা হয়। বাসিন্দারা আরামবাগ রোডের কাবলে এলাকায় পথ অবরোধ করেন। তখন ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। অবরোধ দেখেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং জানতে চান। তারপরই পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দ♏েন। ব্যবস্থাও হয়।