জাল নথি দিয়ে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির চক্র ফাঁস হয়ে গেল। আর তার জেরে গ্রেফতার করা হল তিনজন অভিযুক্তকে। এই অভিযোগের জেরে বিহারের বাসিন্দা–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নদিয়ার কল্যাণী থানার পুলিশ। সম্প্রতি আসানসোল ও বনগাঁ থেকে দুই ছাত্রী কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হতে আসেন। কলেজ অফ মেডিসিন অ🍨্যান্ড জেএনএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তখনই দেখা যায় যে সমস্ত নথি নিয়ে তাঁরা ভর্তি হতে এসেছিল তার সবই জাল। কিন্তু যতক্ষণে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধরতে পারল ততক্ষণে চম্পট দেয় ওই দুই ছাত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু দেখা যায়, পুরো বিষয়টি জানিয়ে ওই দুই ছাত্রীর পরিবার কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরই জাল চক্রের খোঁজে তদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তকারীরা দুই যুবতী ও এক যুবক–সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা হল— সঞ্জীব ঝাঁ, মানালি দাস এবং রত্না দাস। ওই🥀 দুই যুবতীর বাড়ি কলকাতায়। আর যুবকের বাড়ি বিহারে। আজ কল্যাণী আদালতে পেশ করে পুলিশ। এদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই এই জাল নথি তৈরির চক্র তারা চালাচ্ছিল। এই নথি তৈরি করে দেওয়ার পরিবর্তে তারা মোটা টাকা নেয়।
অন্যদিকে এমন কাজ আগেও করেছে তারা। কিন্তু ধরা পড়েনি। একটি কাজ করার পরই তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল নম্বর রিজেক্ট লিস্টে ফেলꦡে দিত। ফলে তাদের আর যোগাযোগ করা যেত না। তারা বিভিন্ন সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারি নথি আগে থেকে জাল করে রাখত। আর উপযুক্ত ক্রেতা পেলেই তাঁদের নাম–ঠিকানা বসিয়ে জাল নথি তৈಌরি করত। তারপর তা মোটা টাকায় বেচে দিত। কয়েকজন এমন নথি নিয়ে বিপাকে পড়লেও এদের টিকি কেউ ছুঁতে পারেনি। এবার এই চক্রকে বুঝতে না দিয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর বমাল ধরা পড়ে গিয়েছে তিনজন।
আরও পড়ুন: যানজট পেরিয়ে শহরে এলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক, ‘খোকাবাবুর জেদ’ কটাক্ষ 𓂃কুণালের
শুধু তাই নয়, এই চক্র কলেজে কিংবা কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে এবং ব্যবসায় সুবিধা পাইয়ে দেওয়ꦬা, ভুয়ো সরকারি নথি তৈরি করে দেওয়া–সহ নানা কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে। এমন সব অভিযোগ হাতে পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা–সহ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে প্রতারকরা প্রতাꩵরণার জাল ছড়িয়ে দিয়েছিল। এই প্রতারকরা যাঁরা চাকরিপ্রার্থী এবং ব্যবসায়ীদেরই টার্গেট করত। চাকরি পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েই প্রতারণার করত। তাতেই লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে ভরেছে প্রতারকরা।