সেই ভাঙাচোরা ওয়েটিং রুম। একপাশে আবর্জনা জমে রয়েছে। ভবঘুরেরা শুয়ে রয়েছেন ෴এখানে ওখানে। সেসব দিন আজ অতীত। এবার একেবারে নানা সুবিধাযুক্ত ঝা চকচকে ওয়েটিং রুম। কিন্তু সেই ওয়েটিং রুম অবশ্য বিনা পয়সা ব্যবহার করার সুযোগ নেই। রীতিমতো টাকা খরচ করে ওয়েটিং রুম ব্যবহার করতে হবে। আর সেই পথ๊ে হেঁটে বর্ধমান স্টেশনের পুরানো ওয়েটিং রুমটি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাই পুরানো ওয়েটিং রুমকে সাজিয়ে একেবারে কেতাদুরস্ত রূপ দেবে।
তবে চুক্তি অনুসারে সেই♓ ওয়েটিং রুম ব্যবহারের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘন্টাপিছু ১০টাকা করে গুনতে হবে। এর সঙ্গেই বাচ্চাদের জন্য নেওয়া হবে ৫টাকা 🌜করে চার্জ। এতদিন এই ওয়েটিং রুমে বিনাপয়সাতেই বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতেন রেলযাত্রীরা। তবে এবার আর সেই উপায় নেই। ওয়েটিং রুমে ঢুকলেই টাকা নেবে বেসরকারি সংস্থা।
তবে রেল সূত্রে খবর, গত বছর হাওড়া স্টেশনে ওয়েটিং রুমকে এভাবেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ওয়েটিং রুমে বাচ্চাদের জন্য কোনও চার্জ দিতে হয় না। তবে এবার বর্ধমানের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের ওই ওয়েটিং রুমে বাচ্চাদেরও চার্জ দিতে হবে। এমনটাই প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। তবে এই ওয়েটিং রুমে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যথাযথই থাকবে। তবে চুক্তির ভিত্তিতে বেসরকারি হাতে ওয়েটিং রুম তুলে দেওয়ায় রেলের সামগ্রিক খরচও কমবে। আগামী এপ্রিলেই এই নতুন ব্যবস্থা চালু হতে পারে। 🐟